ক্যান্সার হাসপাতালে পিএইচপি ফ্যামিলির আরও ৫ কোটি টাকা অনুদান 

0

সমাজসেবায় একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছেন, জীবনের স্বার্থকতা যশ-খ্যাতি, ধন-সম্পদ বা প্রাচুর্যের উপর নির্ভর করে না। মানুষের নিঃশ^ার্থ ভালবাসাই হলো জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা। তাই আমাদের উচিত সকল শ্রেণির মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করা; তবেই জীবনে প্রকৃত স্বার্থকতা আসবে। ধন্য হবে মানবজীবন।

গতকাল শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও রিসার্চ সেন্টারে পিএইচপি ফ্যামিলির পক্ষ থেকে ৫ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ক্যান্সার ইনস্টিটিউট বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক ও হাসপাতালর পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মোরশেদ হোসেন কাছে চেক হস্তান্তর করেন।

এসময় অস্ট্রেলিয়ার ভিয়েনা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. জেরাল্ড ফুটসেক, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক বর্তমানে ব্রাক বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিনয় মানুষকে সম্মানের শিখরে নিয়ে যায় মন্তব্য করে সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, প্রাচুর্য বা সম্পদশালী হলে, আমরা নিজেদের অতীত ভুলে যাই। অথচ আপনি যত বড়ই হোন না কেন, সেই সঙ্গে যদি বিনয় থাকে তাহলে আপনাকে আরও মহান করবে; সম্মান-মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন,জ্ঞানের সঙ্গে বিনয় থাকলে মহাজ্ঞানীর মর্যাদা এনে দেয়। প্রত্যেক মানুষের উচিত শ্রেণিভেদ নয়; মানবসত্ত্বা হিসাবে চিন্তা করা। তখনই আমরা প্রত্যেক মানুষকে শ্রদ্ধা করতে পারবো এবং সকল মানুষের ভালমন্দ নিয়ে চিন্তা করতে পারবো।

মান-সম্মান, যশ-খ্যাতি ও প্রাচুর্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আমানত হিসাবে দেওয়া হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সবকিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ। আমরা কেবল কয়েকদিনের আমানতদার। আল্লাহর আমানত কোনভাবেই খেয়ানত করা যাবে না। যারা আল্লাহর প্রদত্ত আমানত খেয়ানত করে অর্থাৎ সঠিকভাবে ব্যবহার না করে তাদের সম্পদ বেশিদিন থাকে না।

সমাজে নানাভাবে পিএইচপি ফ্যামিলি অবদান রেখে চলেছে উল্লেখ করে একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, সুফি মিজান সাহে দানের ব্যাপারে সবসময় এগিয়ে থাকেন। ব্যবসার পাশাপাশি একজন সফল পিতা হিসাবে সন্তানদেরও একই মানসিকতায় গড়ে তুলেছেন; যা বর্তমন সময়ে বিরল। সুফি মিজান সাহেব মানুষের সেবা করতে পারলেই খুশি হন।

মা ও শিশু হাসপাতাল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মোরশেদ হোসেন বলেন, এই হাসপাতালে সবচেয়ে বড় অনুদান ১০ কোটি টাকা দিয়েছে পিএইচপি ফ্যামিলি। হাসপাতালের জন্য একটি লিফট দিয়েছেন। ক্যান্সার হাসপাতালের যখন আর্থিক সংকট চলছিল ঠিক সেই সময়ে ৫ কোটি টাকা অনুদান মিললো। এতে হাসপাতালের কাজে অনেক গতি আসবে।

অনুষ্ঠানে হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সহসভাপতি আবদুল মান্নান রানা, ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ ডা. শেফাতুজ্জাহান বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *