ইউএস ওপেন কাপ।মেসির জাদুতে আরেকটি ফাইনালে মিয়ামি

0

কয়েকদিন আগে লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি লিগ কাপ জিতেছে। সেই ধারাবাহিকতা না ভেঙে দলকে আরও একটি শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। টাটা মার্টিনোর দল একটি শ্বাসরুদ্ধকর মেসি জাদুর ম্যাচে সিনসিনাটিকে হারিয়ে তাদের প্রথম ঐতিহ্যবাহী ইউএস ওপেন কাপ ফাইনাল টিকিট নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় সিনসিনাটির মুখোমুখি মিয়ামি। মায়ামি ফাইনালে উঠার লড়ায়ে ৬৭ মিনিট পর্যন্ত ২-০ পিছিয়ে ছিল। সেখান থেকে নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে ড্র করে লিওনেল মেসির দল। এরপর অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই লিড নেয় তারা। কিন্তু বেশিক্ষন টিকতে পারেনি। ১১৪ মিনিটে সমতায় ফেরে সিনসিনাটি।

ম্যাচের ভাগ্য তৈরি হয় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৪ জয়ের মাধ্যমে, মিয়ামি প্রথমবারের মতো ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে টিকিট নিশ্চিত করেছে।

আমেরিকান লিগের শীর্ষ দল সিনসিনাটি। আজ মিয়ামির বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রভাব নিয়ে খেলছিল ক্লাবটি। অন্যদিকে মিয়ামিকে ম্যাচের শুরু থেকেই কিছুটা অপরিচিত লাগছিল। এই সুযোগে সিনসিনাটি বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে। যাইহোক, তারা বারবার মিয়ামির রক্ষণ দ্বারা বাধা ছিল। কিন্তু ১৮তম মিনিটে অ্যারন বুপেঞ্জার পাসে দুর্দান্ত গোলে দলকে এগিয়ে দেন লুসিয়ানো অ্যাকোস্তা।

মিয়ামি গোলটি নিয়ে কিছুটা গোলমেলে মনে হচ্ছে। এর মধ্যে হলুদ কার্ড দেখেন জর্ডি আলবা। প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ওহিও ক্লাব।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ব্যবধান বাড়ায় সিনসিনাটি। ৫৩তম মিনিটে ব্র্যান্ডন ভাসকুয়েজের গোলটি ম্যাচে সিনসিনাটির অবস্থান মজবুত করে।

মিয়ামির প্রত্যাবর্তনের গল্প শুরু হয়েছিল ৬৮তম মিনিটে। লিওনার্দো ক্যাম্পানার হেড মেসির ফ্রি-কিক জালে জড়ান। এবং ব্যবধান কমিয়ে, মিয়ামি নতুন করে জেগে উঠুক। ম্যাচটিও কিছুটা প্রাণ ফিরে পায়।

এরপর ৯০ মিনিটে আর গোলের দেখা পায়নি মিয়ামি। কিন্তু মিয়ামির ভাগ্য ওভারটাইমে ঘুরে। আবারও মেসির সহায়তায় গোল করেন ক্যাম্পানা। মায়ামি ২-২ সমতায়। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের ৩ মিনিট পর ফের লড়াই করে মিয়ামি। জোসেফ মার্টিনেজ বেঞ্জামিন ক্রেমাস্কির পাসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে শটে মায়ামিকে ৩-২ এগিয়ে দেন।

ম্যাচের নাটকীয়তা এখনো বাকি। মিয়ামি লিড নেওয়ার ১১ মিনিটের পরে সিনসিনাটি গোল করে। ১১৪তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে বল ক্লিয়ার করতে পারেননি মিয়ামির ডিফেন্ডার। আর সেই সুযোগে সিনসিনাটির জাপানি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইউইয়া কুবো ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোল করে ম্যাচকে আরও বাড়িয়ে দেন।

 

অতিরিক্ত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। মিয়ামির ৫টিই পেনাল্টি শুটআউটে গোল করেন। সিনসিনাটির নিক হগল্যান্ড ব্যর্থ। ৫-০ ব্যবধানে জয়ের মাধ্যমে ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন দল আরেকটি ফাইনালে প্রবেশ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *