আদমশুমারি থেকে যাতে কেউ বাদ না পড়ে: অর্থমন্ত্রী
দেশের একজন মানুষও যাতে শুমারি থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। পরিসংখ্যান ভুল হলে পরিকল্পনা ভুল হতে বাধ্য। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা থেকে কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন। সরকার কোনো বঞ্চিত ব্যক্তির অভিশাপ নিতে চায় না।
বুধবার আদমশুমারি ও গৃহ শুমারি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিদেশ থেকে আসা বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শামসুল আরেফিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড.শাহনাজ আরেফিন এবং শুমারি ও আদমশুমারি প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আদমশুমারির সঙ্গে রেমিটেন্সের সম্পর্ক তুলনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আদমশুমারির মাধ্যমে প্রবাসীর প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স যদি ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনা যায় তাহলে তা অর্থনীতিতে আরও অবদান রাখবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রণোদনা ঘোষণার পর বিপুল পরিমাণে রেমিট্যান্স বেড়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সব জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় আদমশুমারির তথ্য ব্যবহার করতে হবে। সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনি কর্মকর্তাদের বিশেষ অনুরোধ জানান।
১৫ থেকে ২১ জুন দেশব্যাপী আদমশুমারি ও আদমশুমারি পরিচালিত হবে। সেই সপ্তাহটিকে ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ১৪ জুন মধ্যরাতে ১২ টায় ‘সেনসাস পয়েন্ট’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা করা হবে। আদমশুমারি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। এ উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।