কক্সবাজার।যাত্রীদের পদে পদে মুখর সৈকত

0

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটকের ঢল। মুখর সৈকতের তাক অবস্থানে ভ্রমণ-ক্ষুধার্ত মানুষ। তিন দিনের ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে তিন লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম হয়েছে।

শুক্রবার সকালে সৈকতের সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, লাখ লাখ পর্যটক সেখানে উপস্থিত। সমুদ্রস্নানে নেমে পড়েছেন অসংখ্য পর্যটক। ৫০ জন উদ্ধারকর্মী তাদের সামাল দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। কিন্তু পর্যটকদের উত্তেজনায় নতিস্বীকার করছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিছুই তাদের থামাতে পারছেন না।

পর্যটকরা উদ্ধার কর্মীদের চিৎকার ও বাঁশিতে সাড়া দেয় না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে কোনো ক্ষতি নেই। মাইকিংয়ের মাধ্যমে পর্যটকদের সতর্ক করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। জেলা প্রশাসনে কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টিইউএসি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কক্সবাজারে তিন লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম হয়েছে। সাড়ে চার শতাধিক হোটেলের সব কক্ষ ভাড়া হয়ে গেছে।অনেক পর্যটক রাত্রিযাপন করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।

পর্যটন পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কক্সবাজারে প্রতিদিন লাখ লাখ পর্যটক আসছেন। পুলিশের সচেতনতামূলক প্রচারণা চলছে। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। পরিত্যক্ত মাস্ক আশেপাশে না ফেলার জন্য উত্সাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু উপচে পড়া ভিড়ের কথা কে শোনে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে পর্যটন স্পটগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি বিবেচনায় গত অক্টোবর থেকে সরকার এটি খুলে দিয়েছে। এরপর থেকে কক্সবাজারে পর্যটকদের আগমন শুরু হয়। ১৬ ডিসেম্বর থেকে তিন দিনের ছুটি বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের আকর্ষণ করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সৈকতে লাইফগার্ডের ইনচার্জ সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, অনেক পর্যটক ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে গোসল করতে যাচ্ছেন। আমরা তাদের থামানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু অনেকেই সতর্ক সংকেত মানতে চান না। তাদের আনন্দের কাছে আমরা অসহায়।

কক্সবাজার হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন স্পটটি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থবির হয়ে পড়ে পর্যটন খাত। এখন পর্যটকদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে পর্যটন শিল্প। তিনি বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি ও ছুটির দিনে পর্যটকদের উপস্থিতি বেশি থাকে। বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে দেওয়া হচ্ছে নানা সুযোগ-সুবিধা। শপিংমলগুলোও জমে গেছে। অনেকেই ভিড় করছেন টেকনাফ, সেন্ট মার্টিনসহ বিভিন্ন স্পটে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, সাদা পোশাকের পুলিশও পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে। সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। পর্যটকদের মাস্ক পরাসহ শারীরিক দূরত্ব পালনে প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *