ডায়াবেটিসে জাম খাওয়া কেন উপকারী?

0

ছোটবেলায় জাম খেয়ে মুখ লাল হয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। রসালো এই ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি গুণে অনন্য। গ্রীষ্মের এই ফলটি স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকারী।

জাম প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি এবং বি৬ সমৃদ্ধ একটি ফল।

ভিটামিন সি এবং আয়রন সমৃদ্ধ জাম রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে রক্ত চলাচলও ভালো হয়। রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছালে শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলী সঠিক হয়।

জামের মতো একটি অ্যাস্ট্রিনজেন্ট উপাদান তৈলাক্ত ত্বক থেকে অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়।

জামের ভিটামিন এ চোখ সুস্থ রাখে।

১০০ গ্রাম জামে প্রায় ৫৫ গ্রাম পটাশিয়াম পাওয়া যায়। পটাশিয়াম সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ধমনী রোগের ঝুঁকি এড়াতে পুষ্টিবিদরা জাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।

মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা দাঁতের সমস্যা নিরাময়েও জাম কার্যকর। এক্ষেত্রে জাম খাওয়া ছাড়াও জামের গুঁড়ো মাজন হিসেবে ব্যবহার করাও উপকারী।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম খুবই উপকারী। প্রতিদিন জাম খাওয়া ইনসুলিনের সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

জামে জ্যাম্বোলিন নামক একটি যৌগ থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। জামের উচ্চ অ্যালকালয়েড উপাদান হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু তাই নয়, ফল ছাড়াও জামের বীজ, পাতা এবং বাকলের নির্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

জাম নানাভাবে খাওয়া যায়। এটি কাঁচা খাওয়া যেতে পারে। এটি দিয়ে সালাদ, স্মুদিও তৈরি করা যায়। এমনকি জ্যাম থেকে তৈরি পাউডার সরাসরি সেবন করা উপকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *