আম খাওয়ার পর ৫টি খাবার এড়িয়ে চলুন

0

আম গ্রীষ্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল। স্বাদ ও গুণের কারণে এ ফলকে ফলের রাজা বলা হয়। অনেকেই শুধু আম খান। কেউ এটিকে অন্যান্য উপাদানের সাথে একত্রিত করে, কেউ আম দিয়ে বিভিন্ন পদ রান্না করে। কারো কারো খাবারের সাথে আম খাওয়ার অভ্যাস আছে, কিন্তু কিছু খাবার আছে যেগুলো আম খাওয়ার পর এড়িয়ে চলা উচিত। এর কারণ হলো, আমের পর এ ধরনের খাবার খেলে উপকারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।

আম বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। এই ফলটি ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ-এর একটি চমৎকার উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই উপাদানগুলি ত্বককে সুন্দর করতে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে পারে। আম ফাইবার, পটাসিয়াম এবং বিটা-ক্যারোটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও সরবরাহ করে। এই উপাদানগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে, হজমের উন্নতি করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এগুলি ছাড়াও আমে অল্প পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট এবং ভিটামিন কে রয়েছে। সামগ্রিকভাবে, ডায়েটে আম যোগ করলে তা শরীরে পুষ্টির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।

দই: অনেকেই আম ও দই একসঙ্গে খেতে পছন্দ করেন কিন্তু এই খাবারের মিশ্রণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

করলা: করলা গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে একটি জনপ্রিয় সবজি। তবে খেয়াল রাখতে হবে আম খাওয়ার পর যেন না খায়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে।

মশলাদার খাবার: দুপুরের খাবারের পর আম খাওয়া গ্রীষ্মকালে একটি সাধারণ অভ্যাস। কিন্তু, মশলাদার খাবারের সঙ্গে আম খেলে তা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ কারণে আমের সঙ্গে মশলাদার খাবার খাওয়া উচিত নয়।

কোল্ড ড্রিঙ্কস: আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোডা বা কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করা ভালো নয়। উভয় খাবারেই চিনির পরিমাণ বেশি। এ কারণে একসঙ্গে দুটি খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

পানি: কারো কারো ফল খাওয়ার পর পানি খাওয়ার অভ্যাস থাকে। আম খাওয়ার পর পানি পান করলে তা পরিপাকতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে। এটি ডায়রিয়ার কারণও হতে পারে। এ কারণে খাবার বা ফল খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর পানি পান করা ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *