স্বপ্ন থেকে দুই পা দূরে।আজ আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনাল

0

এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে ফিফা। দলগুলি খেলার আগের রাতে, কাশফির ফ্যানজোন সমুদ্রের ধারে ভক্তদের আকৃষ্ট করার জন্য সেই দেশের একটি সাংস্কৃতিক প্রদর্শনের আয়োজন করে। গত রাতে, একদল শিশু ট্যাঙ্গো নাচছিল ঠিক যেমন মোজার্টের গান বাঁশিতে ওঠে। যেন মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে- আজ সেমিফাইনালের মাঠে এভাবেই ক্রোয়েশিয়ানদের মোজার্টের সুরের পাশাপাশি আর্জেন্টিনার ট্যাঙ্গো ছন্দে মেতে উঠবে ফুটবল বিশ্ব। যদিও একটি বিশ্বাস নিয়ে গতকাল কাতারে আসা আর্জেন্টাইনরা খুব খুশি- বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তারা কখনো হারে না। ইতিহাস অনুযায়ী, ১৯৩০, ১৯৮৬,১৯৯০, ২০১৪-এর পর প্রতিবারই সেমি জিতে ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। আজ ইতিহাস কি কথা বলবে মেসির পক্ষে?

“ক্রোয়েশিয়া একটি দুর্দান্ত দল। ম্যাচটি মোটেও সহজ হবে না। আমি জানি যে আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। তবে আর্জেন্টিনা প্রস্তুত। আমরা কৌশলও ঠিক করেছি।’ ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিকদের সামনে এসে আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি নিশ্চিতভাবে বলবেন না- তার ভেতরে কোনো অশান্তি তিনি সামনে আনবেন না।কিন্তু তিনি জানেন এগুলো মোজার্টের সুর নয়, মড্রিচের এই ক্রোয়াটরা বলকান যোদ্ধাদের মতো। তাদের পূর্বসূরিরা। তারা মাঠে গতি ও দক্ষতা দিয়ে যেকোন ভাবেই প্রতিপক্ষকে আটকাতে পারে। মডরিচ তার শেষ নয়টি নকআউট ম্যাচের মধ্যে আটটি জিতে প্রমাণ করেছেন যে তাদের স্নায়ু কতটা শক্ত। ক্রোয়েশিয়া দলের নাম এখনো ব্রাজিলিয়ানদের কষ্ট দেয়।সেদিন মাঠে তাদের গতিতে বারবার আটকে গিয়েছিলেন নেইমার।যেভাবেই হোক, আজ এই ক্রোয়াটদের থামাতে তিন সেট উত্তরপত্র প্রস্তুত করেছেন আর্জেন্টিনার কোচ।

আজকের ম্যাচেও রক্ষণ মজবুত রেখে ক্রোয়েশিয়া দল পাল্টা দিতে চাইবে বলেই ধরে নিয়েছে বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম। এই দলের অন্যতম দুর্বলতা গোল না করা। গ্রুপ পর্বে কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ বাদ দিলে বাকি চার ম্যাচে মাত্র দুটি গোল। সেটাও ১১৬ মিনিটে ব্রাজিলের সঙ্গে। এভাবে প্রতিটি ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নেওয়ার মানসিকতায় ভুগতে পারে ক্রোয়াটরা। কারণ মেসির আর্জেন্টিনাও টাইব্রেকারের জন্য প্রস্তুত, ট্যাঙ্গো নাচ দেখাতে পারেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। গত বিশ্বকাপ থেকে টাইব্রেকারে নিজেদের অতীত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছে আর্জেন্টিনা। তা ছাড়া আজকের ম্যাচে ইউরোপের এই দলের খেলোয়াড়দের উচ্চতা ও গতির জন্য নির্দিষ্ট কৌশল ঠিক করেছেন স্কালোনি। প্রয়োজনে লম্বা পাস এবং স্পট কিকের ওপর জোর দেবেন মেসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *