শিমুলিয়ায় ফেরির অপেক্ষায় হাজার হাজার মোটরসাইকেল

0

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে গৃহহীন মানুষ নেমেছে। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ তো আছেই। ব্যক্তিগত যানবাহনে মোটরসাইকেলের রাজত্ব সর্বোচ্চ। এসব মোটরসাইকেল ও যাত্রী পারাপার করতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

শনিবার সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে এসব চিত্র দেখা যায়। ফেরি ছাড়াও লঞ্চ ও স্পিডবোটের ঘাঁটিতেও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

এদিন সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া চারটি ফেরিতে যাত্রীসহ প্রায় ১ হাজার ৬০০ মোটরসাইকেল পদ্মা পাড়ি দেয়। ঘাট সূত্রে জানা গেছে, চার শতাধিক মোটরসাইকেল পদ্মা পাড়ি দিয়েছে। মোটরসাইকেলের চাপে ফেরিতে অন্য কোনো যানবাহন উঠানো সম্ভব নয় বলে তারা জানতেন।

এদিকে সকাল ৯টার দিকে শিমুলিয়ার ১ নম্বর ফেরি টার্মিনালে প্রায় দুই হাজার মোটরসাইকেলকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। পন্টুনের দিক থেকে পার্কিং ইয়ার্ডের রাস্তা পর্যন্ত মোটরসাইকেলের সারি সারি।

স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ফেরি পার হওয়ার অপেক্ষায় মো. আজাদ বলেন, সকাল ৮টা থেকে শিমুলিয়া ঘাটে এসে অপেক্ষা করলেও সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাননি।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোটরসাইকেলে করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুট পার হওয়া সুবিধাজনক হওয়ায় ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাটে শত শত মোটরসাইকেল ভিড় জমাতে থাকে। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় শনিবার থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে মোটরসাইকেলের সারি।

বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, প্রাইভেট যানবাহনে অনেক মোটরসাইকেল পারাপার করা যাচ্ছে না। ফেরির প্রবেশপথে বিপুল সংখ্যক বাইক থাকায় লোড-আনলোড করা কঠিন হয়ে পড়ে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন জানান, ওই রুটে একটি রো রো, দুটি মিনি রো রো, দুটি কিটাইপ ও দুটি ডাম্পসহ মোট ১০টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে আট শতাধিক ব্যক্তিগত ও ছোট গাড়ি রয়েছে। দীর্ঘ লাইনে চার হাজার মোটরসাইকেল।

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলেমান বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি রুটে সকাল থেকে ৬৫টি লঞ্চ চলাচল করছে, যদিও সেগুলো নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৫৫টি স্পিডবোট চলছে। সকাল থেকেই লঞ্চ-স্পিডবোট যাত্রীতে ঠাসা। আমরা সুশৃঙ্খলভাবে যাত্রী পারাপার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে বেগ পেতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *