আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু, একই পরিবারের ৩ সদস্য দগ্ধ

0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে জুবায়ের (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা-মা সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার আশুগঞ্জ বাজারের আলাই মোল্লা নামক স্থানে একটি ছয়তলা ভবনের নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ মকবুল মিয়া, তার স্ত্রী রেখা ও বড় ছেলে জয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের মতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

লোকজন, জনপ্রতিনিধি ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশুগঞ্জ বাজারের আলাই মোল্লা ভবন বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভবন ও আশপাশের ভবনের লোকজন। প্রথমে তার বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোলেও মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কক্ষে আটকা পড়েন মকবুল হোসেন, তার স্ত্রী রেখা, বড় ছেলে জয় ও ছোট ছেলে জুবে।

স্থানীয়রা, পুলিশ, আশুগঞ্জ ও সরাইল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার করে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মকবুল হোসেন, রেখা ও জয়কে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ভেতরে আটকা পড়েন তার আরেক ছেলে জুবায়ের। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর নিহত জুবায়েরের মরদেহ উদ্ধার করে।

আহত তিনজনকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, আগুনে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কর্তৃপক্ষের স্থানীয় কার্যালয়ের দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ বলেন, ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে গ্যাস লাইন পরিদর্শন করেছি। তবে গ্যাস সংযোগ থেকে আগুনের কোনো উৎস পাওয়া যায়নি।

এদিকে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগলে এত বিকট শব্দ হত না। যতদূর জানি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *