ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের শাস্তি হওয়া উচিত: হাইকোর্ট

0

জনগণের টাকা আত্মসাৎ, ডাকাতি ও চোরাকারবারিদের গুলি করে শাস্তি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের মামলায় আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন শুনানিকালে নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মন্তব্য করেন বিচারপতি খিজির হায়াত।

এদিন বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির সব মামলার হালনাগাদ তথ্য জমা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে মোহাম্মদ আলীর জামিন আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী আবুল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী। জুবায়দুর রহমান। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

শুনানিতে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিং মামলার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন তার আইনজীবী আবুল হোসেন। তিনি বলেন, পাঁচ বছর কেটে গেছে। মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। অনেক মামলা আছে। এসব মামলায় চার্জশিট দিতে পারেনি দুদক। যার কারণে বিচার শুরু করা যাচ্ছে না।

এরপর আদালত বলেন, অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। এত বছর পরও কেন এসব মামলার বিচার হবে না? এ সময় আদালত দুদকের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, মামলার চার্জশিট দিচ্ছেন না কেন? অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ পাচারের ক্ষেত্রে সামারি ট্রায়াল (দ্রুত বিচার) হওয়া উচিত।

আদালত আরও বলেন, যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে শাস্তি দিতে হবে। এরপর ২১ নভেম্বর পর্যন্ত জামিন আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন আদালত। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে সব মামলার হালনাগাদ তথ্য দুদককে জমা দিতেও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

পরে আইনজীবী জুবায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে বেসিক ব্যাংকে ১৫ থেকে ১৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলায় গত ২০ এপ্রিল জামিন আবেদন করা হয়। এরপর আদালত জামিন আবেদনের শুনানি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে এবং এ সময়ের মধ্যে তিনটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেন। কিন্তু দুদক এখনো প্রতিবেদন দেয়নি। এ পর্যায়ে হাইকোর্ট আবারও বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত সব মামলার হালনাগাদ তথ্য জানতে চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *