সচেতনতা বাড়ালে তামাক সেবন অর্ধেক কমানো সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী

0

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সরকার তামাকের ব্যবহার কমাতে কাজ করছে। এ জন্য আইন করা হয়েছে। আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন যে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাক ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা হবে। তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দক্ষিণ এশীয় স্পিকারস সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই মিলে কাজ করলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। অনেকেই তামাক শিল্পের সাথে জড়িত; তাদের বিকল্প কাজের সুযোগ দিতে হবে। তামাক ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বাড়ানোও জরুরি। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার অর্ধেক কমানো যেতে পারে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী ও সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্ত।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হোসেন আলী খন্দকার, সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মোস্তাফিজুর রহমান, লিড পলিসি অ্যাডভাইজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, সৈয়দ মাহফুজুর হক, ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইকবাল মাসুদ। , পরিচালক, স্বাস্থ্য ও ধোয়া সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, বক্তব্য রাখেন। .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *