‘ক্রসফায়ারে’ নিহত মাদক ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে সোয়া ১১ কোটি টাকা

0

নাম জাহেদুল ইসলাম আলো। কিন্তু তিনি নিমজ্জিত ছিলেন অন্ধকার জগতে। সাত বছর আগে চট্টগ্রামে ‘ক্রসফায়ারে’ মারা যান হিংস্র মাদক ব্যবসায়ী আলো। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সোয়া ১১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। ঢাকা, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই ব্যাংক হিসেবে সাড়ে চার মাসে এ টাকা জমা হয়। টেলিকম ব্যবসার আড়ালে আলোর অ্যাকাউন্টে মাদকের টাকা জমা দেয় চার সহযোগী। আলোর আ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে আদালত।

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের ধোপাড়া আমিন কন্ট্রাক্টর রোডের আলোর নামে নগরীর বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে। ২০১৫ সালের আগস্টে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলো নিহত হন। চট্টগ্রাম মহানগরের পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ জুলাই আলোর খাজা টেলিকমের অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেন আদালত। ওই অ্যাকাউন্টে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অপারেশন) আহসানুর রহমান বলেন, আলো ছিল শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদার। তার অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক বিক্রির টাকা পাঠানোর তথ্য পেয়ে মামলা করা হয়।

মাদারীপুর সদরের পূর্বরাস্তি এলাকার টিটু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক মামলার তদন্তকালে আলোর আরও তিন সহযোগী জাবেদ, ফারজানা আক্তার সুমি ও হাসানের নাম জানা গেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জালে ধরা পড়েছে এই চারজন। হাসানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য জানার পর আলোর ব্যাংক হিসেবে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী শাখায় আলোর অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া যায়। এই চারজন তার অ্যাকাউন্টে ১৮ আগস্ট থেকে ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ পর্যন্ত সোয়া ১১ কোটি ১৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জমা দেন। আলোর প্রধান সহযোগী জাবেদ ও তার স্ত্রী সুমি নগরীর বন্দর থানার মৌলভীপাড়ার।

২০১৫ সালের ১৭ আগস্ট অস্ত্র ও ইয়াবা আটকের পর আকবর শাহ থানায় তিনটি মামলা করে র‌্যাব।

জাবেদের বিরুদ্ধে নরসিংদীর রায়পুরা থানায় ও চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানায় দুটি মাদকের মামলা রয়েছে। তার স্ত্রী সুমির বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় একটি ও নারায়ণগঞ্জের সিদবীরগঞ্জে একটি মামলা হয়েছে। হাসানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও রায়পুরায় তিনটি মামলা রয়েছে। টিটুর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও মাদারীপুরে তিনটি মামলা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *