বুলগেরিয়া থেকে পৌনে তিন লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন এসেছে

0

বুলগেরিয়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজিন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ২ লাখ ৭০০০ ডোজ পাঠিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বুধবার  টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইটে ভ্যাকসিনগুলো ঢাকায় পৌঁছেছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য বিভাগের একজন প্রতিনিধি বলকান দেশটির উপহারের  ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ দিয়ে বাংলাদেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি – গণ টিকাদান শুরু হয়।

কোম্পানির কাছ থেকে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার চুক্তির পর, দুই  চালানে ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। এছাড়া, ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে আরো ৩২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে।

এর পর, যখন দেশটি রপ্তানি বন্ধ করে, বাংলাদেশ বেকায়দায় পড়ে। মজুদ কমে যাওয়ার কারণে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ২৫এপ্রিল থেকে বন্ধ করে দিতে হয়। একপর্যায়ে টিকার দ্বিতীয় ডোজও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় ধাপে, চীনা তৈরি সিনোফর্ম ভ্যাকসিন প্রবর্তনের পর ১৯ জুন পুনরায় টিকা দেওয়া শুরু হয়।

যাইহোক, ১৫ লক্ষ ২১ হাজার ৯৪৭ জন যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছিলেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

কোভ্যাক্সের অধীনে জুলাইয়ের শেষের দিকে জাপান থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন আসা শুরু হওয়ার পর আগস্টের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।

সেই সময়, জাপান কোভাকসের অধীনে পাঁচটি চালানে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৩০ লাখ  ৫৯  হাজার ২০০ডোজ পাঠিয়েছিল।

বুলগেরিয়ার উপহারের সাথে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ১ কোটি ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ২০০ ডোজ দেশে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *