৬ মাসে রেমিটেন্স কমেছে ২১ শতাংশ

0

চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে পাঠিয়েছেন এক হাজার ২৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ। গত অর্থবছরের গতবছর করোনা মধ্যে এক হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। ফলে গত ৬ মাসে রেমিটেন্স কমেছে ২৭১ কোটি ডলার বা ২০.৯১ শতাংশ। এমন প্রেক্ষাপটে আইনি মাধ্যমে রেমিট্যান্স বাড়াতে এই মাস থেকে প্রণোদনার হার বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে।সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রবাসী আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে থেকে। এসব প্রবাসীদের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে আনা হয়। তবে ২০২০ সালে করোনার কারণে হুন্ডির চাহিদা কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ প্রবাসী আয় এসেছে ব্যাংকের মাধ্যমে। এখন চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স কমছে। এছাড়া সব কিছু খুলে দিয়ে মানুষ যে হারে দেশে ফিরেছে তাও কম। এসব কারণে রেমিট্যান্স কমছে। রেমিটেন্স কমে গেলেও গত নভেম্বর পর্যন্ত আমদানি বেড়েছে প্রায় ৫৪ শতাংশ। ডিসেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি বেড়েছে ২৬.৪০ শতাংশ। আমদানির ব্যাপক বৃদ্ধি বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ২.০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। এরপরও আন্তঃব্যাংক বাজারে প্রতি ডলার এক ডলার বেড়ে ৮৫.৮০ পয়সা হয়েছে। আর গত আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। সাধারণত রেমিট্যান্স সব সময় বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, রেমিট্যান্স হ্রাসের কারণগুলি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৬ সালের শুরুর দিকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে দুটি দল পাঠিয়েছিল। প্রতিনিধি দল শ্রমিকদের সাথে কথা বলে উল্লেখ করে যে, রেমিটেন্স কমে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে থেকে বেশি টাকা পাওয়া। বর্তমানে একজন প্রবাসী কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে যে পরিমাণ অর্থ পান তার চেয়ে অন্তত ৭ টাকা বেশি পাচ্ছেন। বৈধ উপায়ে রেমিটেন্স বাড়াতে সরকার রেমিটেন্স প্রণোদনা বাড়িয়েছে। চলতি জানুয়ারি থেকে বৈধ চ্যানেলে পাঠানো অর্থের আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা পাবেন প্রবাসীরা। সরকার ২০১৯ সালের জুলাই থেকে প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিয়ে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *