মিলটনের আশ্রমে থাকা ব্যাক্তিদের দায়ীত্বে  শামসুল হক ফাউন্ডেশন

0

‘চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের বৃদ্ধ, এতিম শিশু ও মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাসস্থান, খাবার ও চিকিৎসা সেবার দায়িত্ব নিয়েছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন। প্রতারণা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দা গ্রেফতার হওয়ায় সেখানে অবস্থানরত অসহায় মানুষদের সেবা দেবে এই ফাউন্ডেশন।

সোমবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, ‘মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এদিকে তার আশ্রমে বৃদ্ধ, এতিম শিশু ও মানসিকভাবে অস্থির মানুষদের কী হবে? সে কথা মাথায় রেখে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আগ্রহ দেখানো হয়েছে। তারা সব ধরনের সেবা দেওয়ার কথা বলেছেন।

গতকাল ডিবি কার্যালয়ে আসেন আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের কর্ণধার ।

মিল্টনের আশ্রমে লোকদের খাবার ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার দায়িত্ব নেন।’

এমনকি আশ্রমে একজন সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকবেন এবং তিনি চিকিৎসা সেবা দেবেন বলেও জানানো হয়েছে।

ডিবি হারুন আরো জানান, আশ্রমে যে খরচ হবে তা আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন থেকে করা হবে। এবং আপদত মিলটন সমাদ্দারের শিশু ও বৃদ্ধাশ্রম আশ্রমে সকলকে সেবা ও চিকিৎসা প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, ‘মিল্টন সমাদ্দার একজন মাদকসেবী এবং সে ইয়াবা সেবন করে। সে নিজেই ইয়াবা সেবনের কথা স্বীকার করেছে। মিল্টন ইয়াবা সেবন করে শিশু ও বৃদ্ধদের টর্চার সেলে মারধর করত।

এর আগে, কয়েকদিন ধরে মানবতার দোসরের মুখোশের নিচে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিত মুখ মিল্টন সমাদেরের বিরুদ্ধে। এমনকি মিল্টনের বিরুদ্ধে অসহায় মানুষের নামে সংগৃহীত অর্থ আত্মসাৎ এবং তাদের কিডনিসহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চুরির মতো অভিযোগও রয়েছে।

এছাড়া ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরি, জমি দখলের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অসহায় মানুষের সেবার জন্য নির্মিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের একটি বৃদ্ধাশ্রমকে ঘিরে তার অপকর্ম নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এসব অভিযোগে গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর বিভাগ। পরে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় তিনটি মামলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *