নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যেন কারচুপি  না হয়: মুফতি ফয়জুল

0

বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী ও দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই ভোটের ফল কারচুপি করা চলবে না।

সোমবার সকাল ৮টার দিকে নগরীর রূপাতলী হাউজিং আ.রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোটপ্রদান শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু। তবে ভোটের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ খুবই ভালো। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা আমাদের নজরে আসেনি। শুধুমাত্র কাউনিয়াতেই আমাদের এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তবে ডিউটিতে থাকা পুলিং অফিসারকে জানানোর পর তারা বিষয়টি সমাধান করেন।

সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, ফলাফল মেনে নেবেন কি না সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ফলাফল যাই হোক আমরা মেনে নেব।

তিনি বলেন, ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত।

এর আগে সকাল ৮টায় বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট শুরুর আগে থেকেই ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন সাতজন। এর মধ্যে চারজন দলীয় নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো: ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ। ফয়জুল করিম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ)। বাকি তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- মোঃ আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ), মোঃ আসাদুজ্জামান (হাতি) ও মোঃ কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি)।

এ ছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। এ সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।

ভোটের আগের দিন রোববার থেকেই বরিশালে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। ১১৫টি কেন্দ্রকে পুলিশ বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছে এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা দিচ্ছে। ঢাকায় নজর রাখতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিএনপি না থাকলেও উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভোট গণনার চূড়ান্ত ফলাফল নির্ভর করছে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের ভোট কোন পথে যাচ্ছে এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট নৌকায় পড়ছে কিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *