চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের ৩ বছর। স্মরণীয় হয়ে আছেন ৩০ জন চিকিৎসক

0

২০২০ সালের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২৫ মে ঈদ-উল-ফিতরের দিনে প্রথম সারির যোদ্ধাদের মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ডা. জাফর হোসেন রুমি। তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। বিশ্ব কাঁপানো করোনা মহামারিতে গত তিন বছরে চট্টগ্রামে আরও ২৯ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যের জীবন বাঁচাতে জীবন উৎসর্গ করা এসব চিকিৎসক চট্টগ্রামবাসীর হৃদয়ে চিরস্মরণীয়। তবে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের মৃত্যুতে যে শূন্যতা নেমে এসেছে তা কখনো পূরণ হবে না বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রামে করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে সামনের সারির যোদ্ধা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি। বর্তমানে চট্টগ্রামের করোনা ডেডিকেটেড জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ‘২০২০ সালের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার খবরটি মনে পড়লে এখনো কেঁপে উঠি। আমরা সবাই ঝুঁকি নিয়ে অন্যের জীবন বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। জীবন এই প্রচেষ্টায় করোনা কেড়ে নিয়েছে চট্টগ্রামের নবীন-প্রবীণ অনেক মেধাবী চিকিৎসকের জীবন, যা চট্টগ্রামবাসীর জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাদের আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বর্তমান জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, মৃত্যুর ঝুঁকি জেনেও যারা অন্যের জীবন বাঁচাতে জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের ঋণ কখনো শোধ হবে না। মোঃ মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, ‘করোনায় আমি অনেক চিকিৎসক বন্ধুকে হারিয়েছি, যাদের স্মৃতি এখনো আমাকে তাড়া করে। চট্টগ্রামের চিকিৎসক চট্টগ্রামের চিকিৎসক সমাজের বড় ক্ষতি করেছেন। সন্দীপন দাশের বড় ভাই ডাঃ সঞ্জয় প্রসাদ দাস বলেন, ‘সন্দীপনের টাকার লোভ ছিল না। এই পুরো সপ্তাহে অনেক দরিদ্র রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়। করোনায় গঠিত স্বাচিপের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সমন্বয়ক ড. এ.এম.এম. মিনহাজুর রহমান বলেন, “চেষ্টা করেও অনেক ডাক্তার বন্ধুকে বাঁচাতে পারিনি। প্লাজমা দেওয়ার পরও ডাঃ মারা গেছেন। সামিরুল ইসলাম বাবু, যে এখনো জ্বলছে।’

মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক চট্টগ্রামে দ্বিতীয় চিকিৎসক হিসেবে ২০২০ সালের ৩ জুন মারা যান। পরদিন মারা যান চমেক হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার এহসানুল করিম। মাহিদুল হাসান, ১২ জুন মারা গেছেন। ড. আরিফ হাসান ও জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদনর। সাদেকুর রহমান। অতি পরিচিত মুখ সিনিয়র চিকিৎসক ডা. ললিত কুমার দত্ত ২১শে জুন পরাজিত হন।প্রথম প্লাজমা থেরাপি ডা.২৪ জুন মারা যান।সামিরুল ইসলাম বাবু। তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর ডা. পোশাক আনোয়ার। এভাবেই প্রখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন অধ্যাপক ডাঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী তসলিম, চমেকের সাবেক অধ্যক্ষ ডাঃ শেখ কামাল উদ্দিন আহমেদ, ডাঃ ফরিদুল তার অনাগত সন্তানকে নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। দিনার জেবিন, বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম মোস্তফা কামালসহ ৩০ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *