ইফতারে খেজুর খেলে কি হয়

0

চলছে রমজান মাস। খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙ্গা এটি রমজানের ঐতিহ্য। পবিত্র হাদিসে খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙার কথাও বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সারাদিন রোজা রাখার পর এমন কিছু খাওয়া উচিত যা শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়। এ ব্যাপারে খেজুরের তুলনা নেই। খেজুর যেমন সুস্বাদু তেমনি অনেক পুষ্টিকর। বলা হয় খেজুর প্রাকৃতিক শক্তির উৎস।

ইফতারে খেজুর খাওয়ার অন্যান্য উপকারিতা হলঃ

পুষ্টি জোগায়: রোজা রাখার পর খেজুর খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেজুর পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই ফলটি শরীরে প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি যোগায় এবং সহজে হজম হয়। এটি ফাইবার, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। সারাদিন রোজা রাখার পর এই ফল শরীরকে দ্রুত প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট পূরণ করতে সাহায্য করে।

পেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে: আপনি যদি সারাদিন না খেয়ে থাকেন তবে সন্ধ্যায় অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা থাকে। এর ফলে পেটের অসুখ, হজমের ব্যাঘাত এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ইফতারের সময় খেজুর খাওয়া ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সারাদিন রোজা রাখার পর অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। এতে প্রচুর ফাইবার থাকায় এটি কম সময়ে পেট ভরে।

তাছাড়া খেজুর আমাদের শরীরে এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে। ফলে হজমশক্তি ভালো হয়।

অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে: সারাদিন রোজা রাখলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তবে খেজুর শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শারীরিক অস্বস্তি কমায়।

শক্তি যোগায়: সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। খেজুর শারীরিক ক্লান্তি দূর করে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ। এতে চিনির পরিমাণ এত বেশি যে এই ফল খেলে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়। ফলস্বরূপ, খেজুরের এই সমস্ত গুণাবলী দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখার পরে শরীরের তাত্ক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়া খেজুরে উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবারও দীর্ঘ সময় শরীরে শক্তি বজায় রাখে।

শরীরকে ডিটক্সিফাই করে: সারাদিন রোজা রাখলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল জমতে পারে। আর খেজুর এই খারাপ কোলেস্টেরলকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *