ইলিশ সংগ্রহে আজ থেকে শুরু হয়েছে নানা নিষেধাজ্ঞা

0
Untitled design (3)

Description of image

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নানা ধরনের বিধিনিষেধ চলছে। আগামী বছরের ২৩ জুলাই রবিবার মধ্যরাত থেকে আট মাস ২৩ দিন এই বিধিনিষেধ পালন করা হবে। অবশ্যই, এই পদক্ষেপগুলি প্রতি বছর নেওয়া হয়। এই পদক্ষেপের প্রথম ধাপে আজ থেকে জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মৎস্য অধিদপ্তরের মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ২৫ সেন্টিমিটার (প্রায় ১০ ইঞ্চি) পর্যন্ত ইলিশ জাটকা হিসেবে বিবেচিত হয়। গত তিন-চার মাসে যেসব মায়েরা নদীতে ইলিশের ডিম দিয়েছে, তাদের মধ্যে জন্মানো ইলিশের আকার এখন ২৫ সেন্টিমিটারের মধ্যে। জন্মের পর এক বছর বেঁচে থাকলে তা অন্তত ১২ ইঞ্চি বা এক ফুট আকারের বড় ইলিশে পরিণত হবে। এ জন্য প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা নিধনে আট মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ সময় জেলেরা ৫ দশমিক ৮ সেন্টিমিটারের কম জাল ব্যবহার করলে তাদের জরিমানা করা হবে।

চাঁদপুর ইলিশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, মা ইলিশ সারা বছরই ডিম পাড়ে। তবে আশ্বিনের পূর্ণিমায় ৮০ শতাংশ ইলিশের ডিম ছাড়া হয়। এ কারণে প্রতি বছর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা ও অমাবস্যার মধ্যে ২২ দিন ইলিশ নিধন বন্ধ থাকে। এ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ২৫ অক্টোবর।

এদিকে অভ্যন্তরীণ নদীতে জাটকা নিধন নিষিদ্ধ হলেও পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীর ৪০ কিলোমিটার অভয়ারণ্যে রোববার মধ্যরাত থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা তিন মাস ইলিশ নিধন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্য মাছ ধরার অজুহাতে ইলিশ নিধন বন্ধে অভয়ারণ্য নদীতে ঢুকতে পারবে না জেলেরা। আগামী মার্চ ও এপ্রিলে অন্য পাঁচটি অভয়ারণ্যেও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা পালন করা হবে। এ ছাড়া অন্যান্য মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বাড়াতে আগামী বছরের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত গভীর সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের সহকারী পরিচালক নাজমুস সালেহীন বলেন, আট মাসের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার প্রণোদনা হিসেবে জেলেদের প্রতি মাসে ৪০ কেজি হারে ১৮০ কেজি চাল দেওয়া হয়। বরিশাল বিভাগে তিন লাখ ৯৩ হাজার ১৯১ বন্দি রয়েছে। গত বছর দুই লাখ ৩২ হাজার ৮১ জন জেলে চাল সহায়তা পেয়েছিলেন। এবারও তারা এই সাহায্য পাবেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।