ছুটির দিনে মেট্রোতে আনন্দ, সঙ্গে হতাশা

0

সূর্য তখনো কুয়াশা ভেদ করেনি। এর আগে উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি) ও আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনের বাইরে হাজার হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সপ্তাহান্তে দিন বাড়ার সাথে সাথে লাইনগুলি দীর্ঘ হয়। অপেক্ষা হল মেট্রোরেলে একটি ট্রিপের জন্য।

আগের দিনের মতো শুক্রবার সকাল ৮টায় মেট্রোরেল চলাচল করে চার ঘণ্টা। দ্বিতীয় দিনেও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও বেশির ভাগ মানুষ ট্রেনে ওঠার সুযোগ পাননি। মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা ডিএমটিসিএলের মতে, সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলছে। সবাই চড়ার সুযোগ নেই।

আগারগাঁওয়ে সকাল ৮টায় স্টেশনের সিঁড়িগুলোতে শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে গেট খোলার অপেক্ষায়। ইতিমধ্যেই পাসপোর্ট অফিসে উৎসুক যাত্রীদের সারি শেষ হয়েছে। আর দিয়াবাড়িতে একই সময়ে যাত্রীদের সারি ছিল আধা কিলোমিটার দীর্ঘ। অনেকে খোলার আগেই কলাপসিবল গেট টপকে স্টেশনে প্রবেশ করেন।

উভয় স্টেশনেই শতাধিক প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস দেখা যায়। রাজধানীর বাইরে থেকেও অনেকে তাদের পরিবারের সঙ্গে গাড়িতে করে মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা নিতে আসেন।

স্টেশনের নিচে সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। সাড়ে আটটার দিকে ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট হাতে পেয়ে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ভিডিওতে তিনি উন্নত দেশের মেট্রো রেল দেখেছেন। এখন আমার দেশের মেট্রো রেলে চড়ি।

গত বৃহস্পতিবার দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ফিরে যান শামীমা নাসরিন বন্যা নামেরি এক  কলেজ শিক্ষিকা। তাই গতকাল দেরি করেননি তিনি। সকাল ৭:৩০ এ লাইনে দাঁড়ান। ছুটির দিনে স্বামীর সঙ্গে মেট্রো যাত্রা।

নাজনীন বেগম উত্তরা থেকে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে আসেন। স্টেশনের বাইরে গাড়ি পার্ক করে টিকিট কিনে প্লাটফর্মে দাঁড়ান। ট্রেন আসার পর স্বামী ও সন্তানদের ভেতরে রেখে ছবি তুলতে বেরিয়ে আসেন তিনি। তারপর ট্রেনের দরজা বন্ধ। স্বামী-সন্তান নিয়ে আর যাওয়া হয়নি। তবে পরের ট্রেনে তিনি আগারগাঁও যান। তিনি জানান, বিদেশে বহুবার মেট্রোরেলে চড়েছেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘুরাঘুরি আর মেট্রোরেল দেখা দুটোই ছুটির দিনে।

উত্তরা থেকে আসা যাত্রীদের মতিঝিল পৌঁছাতে গতকাল আগারগাঁও স্টেশনের ‘বি’ গেট থেকে নিয়মিত বিআরটিসির বাস চলাচল করে।

পুরান ঢাকার শহিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ লাইনের কারণে তিনি স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় উঠতে পারেননি। বিকেলে দুই ঘণ্টা পর অফিস শেষে মেট্রোতে ফিরতে পারছেন উত্তরার মানুষ।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এমআরটি পাস কেনার ফলে অনেক লোক একবারে টিকিট কেনার সময় যে ঝামেলার মধ্য দিয়ে যায় তা দূর করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *