জাপার সঙ্গে বৈঠক।সভা-সমাবেশে বাধা চায় না ইউরোপীয় ইউনিয়ন

0

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সকালের প্রাতরাশ বৈঠক করেছেন। রোববার গুলশানে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ইইউ রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যাশা করেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশে হামলা ও বাধা চান না তারা।

সকালের নাস্তায় অংশ নেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক চুন্নু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মসরুর মাওলা। ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানি, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চারটি দেশের কূটনীতিকরা বৈঠকে ছিলেন।

ঢাকায় ইইউ মিশনের ফেসবুক পেজে বৈঠকের বিষয়ে জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জাপা সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে করণীয় নিয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় হয়েছে। জাতীয় পার্টি তাদের নিজস্ব মত প্রকাশ করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চাইছে বিএনপি। রাষ্ট্রদূতরা এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির মতামত চেয়েছেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা বলেছি, জাতীয় পার্টি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে না।

জাপা শুরু থেকেই নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে। ইইউ রাষ্ট্রদূত রবিবারের বৈঠকে ইভিএম সম্পর্কে জাপার মতামত জানতে চান। এ বিষয়ে চুন্নু বলেন, আমরা বলেছি ইভিএম মেশিনে কোনো ত্রুটি নেই। যারা ইভিএম চালায় তাদের নিয়োগ দেয় সরকার। এটা তাদের দোষ।

মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সভা করতে অনুমতি লাগে। কেন একটি বৈধ রাজনৈতিক দলকে সভা-সমাবেশ, মিছিল করতে দেওয়া হবে- রাষ্ট্রদূতদের প্রশ্নের জবাবে আমরা (জাতীয় পার্টি) এটা পছন্দ করিনি। তারা আরো বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রতিবন্ধকতামুক্ত হতে হবে।

এদিকে, রাষ্ট্রদূতরা নির্বাচন সুষ্ঠু করার উপায় জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির নেতারা বলেন, তারা একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) চান।

মুজিবুল হক বলেন, আমরা বলেছি একটি নির্বাচন কমিশন দরকার, যার ওপর সরকারের নির্ভর করতে হবে না। আপনার নিজের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ক্ষমতাবান এবং দায়িত্বশীল হন।

আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, বিএনপি বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করছে। জাতীয় পার্টিও একই পথ অনুসরণ করেছে কি না জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, আমরা যাইনি। ইইউ রাষ্ট্রদূত আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, নাস্তার জন্য। বিএনপি নিজের অবস্থানে আছে। জাতীয় পার্টি কোনো অভিযোগ করেনি।

জাপা মহাসচিব বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি বাজার ও উন্নয়ন সহযোগী। তাই তারা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত থাকুক। সরকার ও বিরোধী দলের সহাবস্থান ও উন্নয়নে ঐকমত্য হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *