চোখের জলে সহপাঠীকে শেষ বিদায়

0

বিদায় সবসময় বেদনাদায়ক। আর তা যদি হয় প্রিয় সহপাঠীর শেষ বিদায় হয়, তাহলে কষ্ট বহুগুণ বেড়ে যায়। এমন দৃশ্য দেখা গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র মাসুদ আল মাহাদী অপুর বিদায়ের সময়।

মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় একটি হৃদয় বিদারক দৃশ্য ঘটে। জানাজা শেষে মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে তার নিজ জেলা পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে নিয়ে যাওয়া হয়। অপুকে সেখানেই সমাহিত করা হবে।

জানাজায় নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন। জানাজায় অপুর সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আত্মীয়-স্বজন অংশ নেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন অপুর বন্ধুসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মুহূর্তেই বদলে যায় পুরো এলাকার পরিবেশ। উপস্থিত অনেকের চোখে পানি ছিল।

মোরশেদ ভূঁইয়া নামের অপুর এক বন্ধু কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অপু ছিলেন অসম্ভব প্রতিভাশালী। আমরা কখনো কল্পনাও করিনি যে আমরা তাকে অকালে হারাবো।

তার এক সহপাঠী এবং রুমমেট বলেন যে সে খুব মেধাবী। পড়াশোনায় সিরিয়াস ছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে তার প্রতিভা সমাজকে সাহায্য করেনি। অপু অনেক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ক্যাম্পাসের ভালোর জন্য কাজ করেছেন। এমনকি প্রথম বছরেও আমরা এক বছরের ব্যবধানে পুনরায় ভর্তি হই। এর আগে তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি আমাদের বলেন যে তিনি আর কখনও তা করবেন না।

শাহদাত নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, অপুর মতো সাহসী ছেলেদের ধরে রাখা আমাদের ব্যর্থতা। অপু ওপারে ভালো থেকো। আমরা চেষ্টা করবো যেন কোন অপুকে এভাবে না হারাই।

চকবাজার পুলিশ সোমবার চানখারপুলের একটি ভবন থেকে অপুর লাশ উদ্ধার করে। তিনি ২০১৬ সালে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *