শিল্পকারখানায় এলাকাভিত্তিক সাপ্তাহিক ছুটি:: চট্টগ্রামে প্রথম দিনেই ব্যর্থতা

0

লোডশেডিং কমাতে চট্টগ্রামসহ দেশের শিল্পাঞ্চলে এলাকাভিত্তিক সাপ্তাহিক ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। শুক্রবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রথম দিনেই চট্টগ্রামে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। এমনকি অনেক কারখানার মালিকও এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত নন।

শুক্রবার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বুবো) আওতাধীন চট্টগ্রামের ষোলশর, কালুরঘাট, মুরাদপুর, আপিজেন, নাসিরাবাদ, মোহরা ও হাটহাজারী এলাকার কারখানাগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি পালিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) চট্টগ্রাম-১ এর অধীনে কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম-৩ সমিতির পায়েরচর (বেজা), আবুরহাটে সাপ্তাহিক ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এসব এলাকায় পূর্ব নির্ধারিত সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার। এ কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রয়ের অর্ডার আছে এমন সব কারখানা খোলা ছিল।

বিসিক ষোলশহরের শিল্প নগর কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, এই শিল্পনগরীতে ৪৭টি কারখানা রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় কারখানা বন্ধ ছিল। তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পুনর্নির্ধারিত ছুটি পাননি। কালুরঘাট বিসিক শিল্প নগরীর এক কর্মকর্তা বলেন, যেসব পোশাক কারখানায় আন্তর্জাতিক ক্রয়ের অর্ডার রয়েছে সেগুলো শুক্রবার খোলা ছিল।

চট্টগ্রামের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত বলেন, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। রোববার এ বিষয়ে কারখানা মালিকদের জানানো হবে। তারপর পুনর্বিন্যাস সপ্তাহান্তে বাস্তবায়ন করা হবে. এ জন্য ১১টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। কোনো কারখানায় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন হলে মনিটরিং টিম আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে আমরা এ সংক্রান্ত নোটিশ পেয়েছি। তাই পুরোপুরি প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। শুক্রবার বিজিএমইএর অনেক সদস্য শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল কারণ এটি ছিল। নির্ধারিত সাপ্তাহিক ছুটি।বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদন প্রক্রিয়া যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে আলোচনা করে শনিবার সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি আরও বলেন, যেসব কারখানায় ক্যাপটিভ পাওয়ার বা নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা আছে, সেসব কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ থাকবে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এই হিসাবে, এই কারখানাগুলি সপ্তাহান্তে সমন্বয় থেকে অব্যাহতি পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *