রাজধানীতে ট্রাকভর্তি গরু আসছে, বাজারগুলি ক্রেতাশূন্য

0
Untitled design - 2025-06-01T163622.090

আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদুল আজহার জন্য রাজধানীর পশুর হাটগুলি প্রস্তুত।

Description of image

ঢাকায় সাধারণত পশু কেনাকাটা শেষ হয়। মঙ্গলবার (৩ জুন) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তাই, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে কোরবানির পশু আসছে। গত বছরের মতো এবারও ছোট থেকে মাঝারি আকারের গরুর সংখ্যা বাড়ছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম।

গত বছর, ঈদুল আজহার আগে, ১২ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি ছাগল সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ছেলে রাজধানীর ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ থেকে ছাগলটি কিনেছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছাগলটি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। ছাগলের মামলা ঘিরে যেন সাপ পোকামাকড় খুঁজতে বেরিয়ে এসেছে! সারা দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ছাত্র-জনগণের বিদ্রোহে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, আবারও ঈদুল আযহা ঘনিয়ে আসছে। তবে এবার দামি গরু বা ছাগলের বিজ্ঞাপনের ঝলক নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোরবানির পশু নিয়ে কোনও হৈচৈ নেই। যার আড়ালে ছাগল জবাইয়ের ছায়া রয়েছে। এই বাস্তবতা বড় খামারিদের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাহিদা কম মনে হলেও বাজারে বড় পশুর সংখ্যা কম নয়। আর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য রয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, এ বছর বড় গরুর চাহিদা নেই। অনেকেই সস্তা ও ছোট পশুর দিকে ঝুঁকছেন। সব মিলিয়ে ছাগল জবাইয়ের ফলে গোয়ালঘর, কোরবানির বাজারে দর কষাকষি, এমনকি কৃষকদের পরিবারেও প্রভাব পড়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে চলমান প্রতিকূল আবহাওয়া ঢাকার বাজারগুলিতেও প্রভাব ফেলেছে। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন যে পশু ঠান্ডা লাগবে। এর পাশাপাশি ইজারাদারদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

ভাড়াটেরা বলছেন যে কৃষক, ব্যবসায়ী বা কোনও প্রাণী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য তারা তাদের জায়গা থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।