মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে আইএসপিআর যা বললো

রাজধানীর চাঁদ উদ্যানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুইজন নিহত ও পাঁচ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

বৃহস্পতিবার আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে যৌথবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে যৌথবাহিনীর সদস্যরা একটি গলির দুই পাশ ঘেরাও করলে সন্ত্রাসীরা একতলা ভবনের ছাদ থেকে অপারেশন টিমের ওপর গুলি চালায়। অপারেশন দল তাৎক্ষণিকভাবে আত্মরক্ষায় পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং অস্ত্রসহ পাঁচ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

পরে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ছাদ থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আটকদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃতদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইএসপিআর এক বিবৃতিতে বলেছে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে আটককৃত ও নিহতদের পরিচয় জানা গেছে। নিহতরা হলেন- ভোলা জেলার চর ফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে মিরাজ হোসেন (২৫)। তিনি মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যান এলাকার ৮ নম্বর রোডের সান্দামির বাড়িতে ভাড়াটিয়া ছিলেন।

অপরজন হলেন- শরীয়তপুর জেলার গোসাইর হাটের দেশভুই গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে মোঃ জুম্মন (২৬)। তিনি চাঁদ উদ্যান এলাকার পাঁচ নম্বর রোডে হুজুরের বাড়িতে ভাড়াটিয়া। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভোলা জেলার দুলারহাট থানার নীলকমল এলাকার আব্দুর রবের ছেলে মোঃ হোসেন (২৩), মিরাজ (২৫), মমিনুল (২০), মেহেদী (১৭) একই জেলার লালমোহন উপজেলার মুলাদীলা উপজেলার সেলিমপুর গ্রামের মোঃ রহিমের ছেলে মোঃ আল আমিন (২৪)। তারা সবাই চাঁদ উদ্যান ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

গ্রেফতারকৃতরা মোহাম্মদপুর থানা হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।