আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার আপিল শুনানি ২৬ ফেব্রুয়ারি
আওয়ামী লীগ নেতা ও গাজীপুরের সাবেক এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় দণ্ডিত আসামিদের আপিল শুনানির জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেছে আপিল বিভাগ।
আজ, বুধবার, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই তারিখ নির্ধারণ করেছে।
আসামিদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ১৪ জানুয়ারী আওয়ামী লীগ নেতা ও গাজীপুরের সাবেক এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় দণ্ডিত আসামিদের আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছিল। আসামিদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এই আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে স্থানীয় জনসভায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা ও গাজীপুরের সাবেক এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টার নিহত হন। এরপর বিচারিক আদালতে রায় ঘোষণার পর হাইকোর্টে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানির পর হাইকোর্ট রায় দেন। তবে, রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষ সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে পৃথক আপিল দায়ের করে।
মামলার ফাইল অনুযায়ী, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নওগাঁয় অবস্থিত এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় সন্ত্রাসীরা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বিচার শেষে, ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল, বিচারিক আদালত নুরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দুজনকে খালাস দেয়।
পরবর্তীতে, বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স দায়ের করা হয়। এর সাথে সাথে আসামিপক্ষের পক্ষে জেল আপিল দায়ের করা হয়। এরপর, ২০১৬ সালের ১৫তম হাইকোর্টের রায়ে ছয়জনের ফাঁসি বহাল রাখা হয়। এই মামলার ৩০ জন আসামির মধ্যে নিম্ন আদালতে মোট ২৮ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দোষী সাব্যস্ত আসামীদের মধ্যে ১৭ জন কারাগারে এবং ৯ জন পলাতক। এছাড়াও, দুজন মারা গেছেন।
