চার ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে

0

পুরনো চারটি ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এগুলো এক থেকে পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে। কমিটি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি নতুন ইজারাপ্রাপ্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে।

বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করা হয়েছে। বৈঠকে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের আরও সাতটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সিলেটের কুমারগাঁওয়ে ৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট। এনার্জি প্রিমা লিমিটেডের মালিকানাধীন কেন্দ্রের মেয়াদ এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী এই কেন্দ্র থেকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৯৭ পয়সা দরে ​​বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৮৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। একই কোম্পানির ফেঞ্চুগঞ্জ ৫০ মেগাওয়াট ও বগুড়ায় ২০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের মেয়াদ ৩ বছর বাড়ানো হয়েছে। সরকারের সঙ্গে ফেঞ্জুগঞ্জ কেন্দ্র থেকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ২ টাকা ১২ পয়সা এবং বগুড়া কেন্দ্র থেকে ২ টাকা ৩ পয়সা দরে ​​বিদ্যুৎ নেওয়ার চুক্তি হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৩৮৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এছাড়া ইউনাইটেড এনার্জি লিমিটেডের আশুগঞ্জ ৫৩ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়েছে। এই কেন্দ্র থেকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ২ দশমিক ৪৩ পয়সা দরে ​​বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৫১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি হবে একটি কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট। গ্যাস বা আরএলএনজি হবে এই প্ল্যান্টের জ্বালানি। কেন্দ্রটি কনসোর্টিয়াম অফ কনসোর্টিয়াম অফ কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংস লিমিটেড, জিই ক্যাপিটাল ইউএস হোল্ডিং ইনকর্পোরেটেড, কনফিডেন্স পাওয়ার লিমিটেড জিইএস এবং ইলেকট্রোপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দ্বারা স্থাপন করা হবে। ২২বছরে এর ব্যয় হবে ৬৯,১৫২ কোটি টাকা।

পুরনো বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ কারণে এখন তাদের কাছ থেকে যে বিদ্যুত কেনা হচ্ছে তার জন্য কোনো ক্যাপাসিটি চার্জ নেই। যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে তার মূল্য পরিশোধ করা হবে। সরকারের ‘নো পাওয়ার নো পেমেন্ট’ নীতিতে এসব চুক্তি করা হয়েছে। ফলে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলাসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সরকার ছয়টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন থেকে সরে এসেছে। ফলে বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *