বাংলাদেশসহ ২৮ দেশের ভোটে  ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব পাশ

0

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। আজ জেনেভায় ৪৭টি সদস্য দেশের ভোটে এই প্রস্তাব পাস হয়। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে বিচারের আওতায় আনারও আহ্বান জানানো হয়েছে প্রস্তাবে। তবে ইসরাইল প্রস্তাবটিকে ‘বিকৃত খসড়া’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

৪৭টি দেশের মধ্যে ২৮টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে মাত্র ৬টি দেশ। আর ১৩টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

এই প্রথম জাতিসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ভয়াবহতম যুদ্ধের বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। তবে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত মেরভ ইলন শাহার এই প্রস্তাবকে মানবাধিকার পরিষদ ও জাতিসংঘের জন্য কলঙ্কজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি মানবাধিকার কাউন্সিলকে ইসরায়েলি জনগণের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী শত্রুতা এবং হামাসকে রক্ষা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

দৃঢ় শব্দযুক্ত রেজোলিউশনে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি, হস্তান্তর এবং হস্তান্তর বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়ে ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।

সেই সময়ে ইসরায়েলি আইনজীবীরা গাজায় ইচ্ছাকৃতভাবে মানবিক দুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য ইসরায়েলের প্রচেষ্টা তুলে ধরেছিলেন।

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পাকিস্তান প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কোন দেশ কোন পক্ষ নিয়েছে তার ছবি প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা। দেখা গেছে, যেসব রাষ্ট্র পক্ষে ভোট দিয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং আর্জেন্টিনা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও ফ্রান্সের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

গত ছয় মাসে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলা ও হামলায় গাজায় অন্তত ৩৩,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *