চসিকের বইমেলার নাম হবে ‘চট্টগ্রাম বইমেলা’

0

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিএইচএসআইসি) আয়োজিত বইমেলার নামকরণ করা হয়েছে ‘চট্টগ্রাম বইমেলা’ এবং এর আন্তর্জাতিকীকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিকীকরণে কলকাতা, আগরতলা, আসামের বাংলাভাষী প্রতিভা এবং অন্যান্য বাংলা ভাষাভাষীদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ মন্তব্য করেন যে সেখানকার প্রকাশকদের চট্টগ্রাম বইমেলায় আমন্ত্রণ জানানো উচিত। চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম সব সময়ই এগিয়ে। আমরা আজ যে প্রস্তাব এসেছিল তা গ্রহণ করেছি। আমি চট্টগ্রামের কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব, ইনশাআল্লাহ আগামী বছর চট্টগ্রাম বইমেলা হিসেবে গড়ে ওঠবে।।

নগরীর সিআরবি শিরিষতলায় চলছে অমর একুশে বইমেলা। গতকাল বইমেলার মঞ্চে চসিক প্রদত্ত ‘মহান একুশে স্মৃতি পুরস্কার ও সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বইমেলার নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবকে সমর্থন করে এর আন্তর্জাতিকীকরণের ওপর জোর দেন। এর আগে নাটকে চসিক প্রদত্ত মহান একুশে স্মৃতি পদকপ্রাপ্ত শিশির দত্ত অমর একুশে বইমেলার নাম পরিবর্তন করে ‘চট্টগ্রাম বইমেলা’ নামকরণের প্রস্তাব করেন। এ মেলা একদিন আন্তর্জাতিক বইমেলায় পরিণত হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এবার ১৬ জন মেধাবীকে ‘মহান একুশে স্মৃতি পুরস্কার ও সাহিত্য পুরস্কার’ দিয়েছে চসিক। অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, শিশির দা যে প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে আমি একমত। এই মেলার নাম পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম বইমেলা করা হোক।

এই মেলাকে আন্তর্জাতিকীকরণ করা দরকার। বইমেলায় কলকাতার মেধাবীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আসামের আগরতলায় অনেক বাংলা ভাষাভাষী আছে যাদের ডাকা হবে। ঢাকা থেকে ডাকা হবে। তারা সম্মানিত হবেন। আমরা যদি কলকাতা, আগরতলা, আসাম এবং তাদের অনুসারী এবং প্রকাশকদের আমন্ত্রণ জানাই, তাহলে এই মেলা আন্তর্জাতিকীকরণ হবে।

চট্টগ্রামে খেলার মাঠের অভাব রয়েছে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, শিশু-কিশোরদের যাওয়ার জায়গা নেই। আমাদের সত্যিই একটি শিশু পার্ক দরকার। শিশুদের পার্ক করার জন্য একটি মাঠ খুবই প্রয়োজন। মাঠ সাজানোর জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে শিশু পার্কের অর্থায়ন করবে। তিনি বলেন, তরুণদের বই ও সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট করতে পারলে মাদকাসক্তি থেকে দূরে নিয়ে যাবে। আমরা চট্টগ্রাম থেকে এই বিপ্লব শুরু করতে চাই।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন বইমেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর মো. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে নাটকে পুরস্কার পাওয়া শিশির দত্ত এবং কবিতায় পুরস্কার পাওয়া আবসার হাবীব তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

এবার চসিক পেলেন একুশে স্মৃতি পদক ও সাহিত্য পুরস্কার- মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী (মরণোত্তর)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *