খুলনায় বৃষ্টি ভেজা সকাল

0

কয়েকদিন আগে থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। তবে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনও মাঝারি বৃষ্টি। আকাশ তখনও কালো মেঘে ঢাকা। যে কোন সময় আবার বৃষ্টি শুরু হতে পারে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ ড. আমিরুল আজাদ বলেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। এছাড়াও, পূবালী লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ ছাড়া মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ কারণে আজ খুলনা বিভাগে বৃষ্টি হচ্ছে।

এই আবহাওয়াবিদ জানান, সকাল ৯টা পর্যন্ত খুলনায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী তিনদিন বিরতিহীনভাবে বৃষ্টি হতে পারে। আজ সকাল ৬টায় খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন, আকাশে মেঘ থাকায় তাপমাত্রা বাড়ছে।

এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকরা সমস্যায় পড়েছেন। শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বেশিরভাগই কাজে যেতে পারেননি। এদিকে আরও বৃষ্টি হলে রবিশস্যের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

সকাল ৯টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এরপর খুলনা নগরীর নিরালা, গল্লামারী ডাম্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা খুবই কম। যারা বাইরে গেছেন তাদের বেশির ভাগই অফিসগামী। তবে যানবাহন না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন তারা।

এদিকে বৃষ্টির মাত্রা বেশি হলে রবি ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তবে এই বৃষ্টি বোরো আবাদের জন্য খুবই ভালো। খুলনায় বর্তমানে ৫০ হাজার হেক্টরে বোরো ধান, ২ হাজার ৩০০ হেক্টরে সর্ষে, ২ হাজার হেক্টরে সূর্যমুখী, ৪০০ হেক্টরে আলু ও ৮ হাজার হেক্টরে সবজির আবাদ হয়েছে।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত যে ধরনের বৃষ্টি হয়েছে তাতে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। এই সময়ের বৃষ্টি বোরো চাষের জন্য ভালো। তবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে মাঠের ফসলের ক্ষতি হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *