অভিবাসন কর্মীদের অভিযোগের প্রতিকারের জন্য স্বাধীন সেল গঠনের আহ্বান

0

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইনে সালিশের মাধ্যমে অভিবাসী শ্রমিকদের ন্যায়বিচারের সুযোগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানান। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় ককাস এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল উইমেন লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএনডব্লিউএ) এর সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে মূল বক্তব্য রাখেন (বিএনডব্লিউএ) এর পরিচালক নাফিজ ইমতিয়াজ হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অভিবাসন কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

কিন্তু জাতীয় বাজেটে তাদের জন্য বরাদ্দ খুবই কম। অধিকন্তু, অভিবাসন কর্মীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য আলাদা ও স্বাধীন সেল নেই। হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার অধিকাংশ অভিবাসী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত।

ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তিনি বিএমইটিতে একটি পৃথক সালিস সেল গঠন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট রাখা, উপজেলা পর্যায়ে সালিস ব্যবস্থা চালু এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের সুপারিশ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম বলেন, “সরকার অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে। প্রতারণার শিকার রিক্রুটিং এজেন্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে সংক্ষুব্ধ অভিবাসী শ্রমিকদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আলাদা ও দক্ষ একটি কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।” বিএমইটিতে সালিশি সেলের পাশাপাশি সেখানে দক্ষ জনবল নিয়োগ করা।

সুইস দূতাবাসের প্রতিনিধি নাজিয়া হায়দার বলেন, “বাংলাদেশে অভিবাসন উন্নয়নে সুইস দূতাবাস ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ সরকার চাইলে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

‘তিনি মত দেন যে বিএমইটির অধীনে সালিশের জন্য আলাদা, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল থাকলে দ্রুততম সময়ে কাঙ্খিত সেবা প্রদান করা যাবে।

সভাপতির ভাষণে অ্যাডভোকেট সালমা আলী অভিবাসী শ্রমিকদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “সরকারের অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। প্রতারণার শিকার অভিবাসী শ্রমিকদের দ্রুত প্রতিকার ও সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করতে হবে। তিনি এজেন্টদের পাশাপাশি সাব-এজেন্টদেরও নজরদারির আওতায় আনার আহ্বান জানান। .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *