চট্টগ্রামের দুই পশুর হাটে ‘ক্যাশলেস’ লেনদেন

0

সাধারণত কোরবানির পশু সরাসরি বাজার থেকে নগদে কিনতে হয়। অনেকেই টাকার নিরাপত্তা নিয়ে ভয় পান। এ দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে চট্টগ্রামের দুটি পশুর হাটে ‘ক্যাশলেস’ বা ক্যাশলেস লেনদেনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নগদ টাকার পরিবর্তে কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দিয়ে এসব হাটে পশু কেনা যায়।

চট্টগ্রামের দুটি বাজারে ৫০ কোটি টাকার ডিজিটাল লেনদেনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজার দুটি হলো- নগরীর সাগরিকা ও নূরনগর হাউজিং এস্টেট এলাকায় কর্ণফুলী পশুর বাজার।

মঙ্গলবার কাজীর দেউড়ির সেনা কল্যাণ সংস্থার কনভেনশন হলে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।

ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ জিয়া-উল হক বলেন, গরু কেনা-বেচায় ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে কৃষকদের ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা যাচাই করা যায়। এ ছাড়া গরু কেনাবেচায় নগদ লেনদেন না হওয়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকবে না, জাল টাকা রোধ করা যাবে এবং এ খাতে কী পরিমাণ অর্থ লেনদেন হবে তার একটি ডাটাবেজ তৈরি করা যেতে পারে। চট্টগ্রামের দুই হাটে কার্ড, এটিএম বুথ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গরু কেনা-বেচা করা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে অনেক কৃষকের ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, তারা বাজারে এসে একটা খুলতে পারেন। জাতীয় পরিচয়পত্র, পেশার সনদ, ছবি, মনোনীত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি দিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল লেনদেনের ফলে আর কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকবে না। ব্যাঙ্কগুলি চাইলে ঝুপড়িগুলিতে স্থায়ী এটিএম বুথ স্থাপনে সহায়তা করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবিএম জহুরুল হুদা বলেন, কোরবানি মার্কেটকে ঘিরে স্মার্ট লেনদেনের ব্যবস্থা থাকবে। সবাই জাল টাকা চেক করা হবে. পশুর হাট যতদিন চলবে, বুথ থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১০টি হাটে ১৫০ কোটি ডিজিটাল লেনদেনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। চট্টগ্রামে ৫০ কোটি টাকার ডিজিটাল লেনদেন কঠিন হবে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী বছর চট্টগ্রাম নগরীর সব পশুর কুঁড়েঘর স্মার্ট হাটে রূপান্তরিত হবে।

সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন মাস্টার কার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আশরাফুল আলম খান, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম ও ইউসিবিএল কর্মকর্তা আমান উল্লাহ বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *