১১টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা মতবিনিময় করেন।কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিন

0
Untitled design (5)

পার্বত্য চট্টগ্রামের ১১টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা পার্বত্য অঞ্চলে সম্প্রতি গড়ে ওঠা বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া বম সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকেও এ কাজে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তারা।

Description of image

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সোমবার অরুণ সারাকি টাউন হলে ১১টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সেখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এ আহ্বান জানান। সভায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সংগঠন ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কে.শাই হ্লা।

বক্তারা কেএনএফ পাহাড়ে সাম্প্রতিক হত্যাকান্ড অত্যন্ত দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন। তারা বলেছে, সাধারণ মানুষ হত্যা, রাষ্ট্রীয় বাহিনী সেনা সদস্যদের হত্যা ও আহত করে কেএনএফ তাদের লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে সকল মানুষের স্বাধীনভাবে বসবাসের অধিকার রয়েছে। কিন্তু কেএনএফ বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলা নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র করার দাবি জানিয়েছে। মারমা, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, বম, ম্রো, খিয়াং, খুমি ছাড়া কোনো সম্প্রদায় সেখানে বসবাস করতে পারে না। তাদের দাবি অবাস্তব ও অন্যায্য। তাদের দাবি কখনো পূরণ হবে না; পরিবর্তে, কেএনএফ তাদের দাবি পূরণের জন্য ত্রিপুরা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা এবং ম্রো সম্প্রদায়ের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।

বক্তারা কেএনএফের প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে পার্বত্য সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, কেএনএফ ইতিমধ্যেই বৌদ্ধ বিহারে অভিযানের নামে বেশ কিছু হত্যা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষকে উসকে দিয়েছে।

বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজার বম বলেন, “গত রবিবার, কেএনএফ প্রধান নাথান বামের সঙ্গে তার ফোনালাপ হয়েছিল। তিনি বারবার নাথানকে সশস্ত্র পথ পরিহার করে শান্তির পথ বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু নাথান এ বিষয়ে কিছু বলেননি। তিনি কিছু অধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন। .’ কিন্তু নাথান বম ঠিক কী বিষয়ে কথা বলছেন তা স্পষ্ট করেননি লালজার বম।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।