সবাই মিলে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে হবে: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

0

অনুষ্ঠানে হুইল চেয়ারে বসেছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অসুস্থতায় স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে। তবে পুরস্কার গ্রহণের পর বক্তব্য শুরু করার সময় সুপরিচিত তেজোদীপ্ত ডা. জাফরুল্লাহ তিনি বলেন, রাজনীতি সম্পর্কে। রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমলা, বিচারক-সবাই সমালোচনা করেছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংলাপ প্রত্যাখ্যান করলেও জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা অবশ্যই প্রয়োজন।

মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরী সব সময় সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অনুগত। তিনি খোলামেলা কথা বলেন।

সম্মানের মঞ্চে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের নই। কিন্তু শেখ মুজিবের অনুগত।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী কীভাবে সমাজসেবায় এসেছেন তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “আমি সবেমাত্র হাইস্কুল থেকে স্নাতক হয়েছি। তখন মা বলতেন, ‘ছাওয়াল তুই আইছিলি নাংটা। যাবিও নাংটা। যদি তারা সেখানে তোকে জিজ্ঞাসা করলে, এদের(অসহায় মানুষ) জন্য কি করছষ কী? মানুষের জন্য কি দায়িত্ব পালন করেছিস?’ আমি একজন ব্যাংকার হতে চেয়েছিলাম। মা বললেন ডাক্তার হতে। মা সঠিক পথ দেখিয়েছিলেন।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পুরস্কারপ্রাপ্ত জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবন ও কর্ম নিয়ে বক্তব্য রাখেন। সবার কাছে প্রশংসিত হন তিনি। জাফরুল্লাহ স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললেন, ‘কী চাটুকারিতা! সবাই প্রশংসা করেছে! আমার ভুল কেউ ধরলেন না।  ভুল ধরলে, আমি এটি সংশোধন করতে পারতাম।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার দরকার নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবে না বিএনপিও। জাফরুল্লাহ চৌধুরী দুই পক্ষকে এ অবস্থান থেকে ফিরে এসে আলোচনায় বসার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ কী তা নিয়ে আলোচনার দরকার নেই। অবশ্যই আলোচনার প্রয়োজন আছে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী আবারো জাতীয় সরকার নিয়ে কথা বললেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে যারা এখানে আছেন তাদের সবাইকে দুই বছরের জন্য বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে দেখা যাবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ডে রূপান্তরের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা ৫ বছরেই বাস্তবায়িত হতে পারে। শুধু ছবি টাঙিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করলে হবে না। তার চিন্তাকে বাস্তবায়ন করতে হবে। কৃষক-শ্রমিকদের মাসিক ভাতা দিতে হবে। কর্মসংস্থান করতে হবে। বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের দেখাশোনা করতে হবে।

তিনি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বলেন, আল্লাহর নামের অপব্যবহার করে আর কত দিন বাঁচবেন। আসুন সবাই মিলে চেষ্টা করি, ভোট যাতে সঠিক হয়। কামাল, আ স ম আবদুর রব, আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমকে আবারো দেশের জন্য রাজপথে নামতে হবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *