ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরার কারণে মাদ্রাসার শিক্ষক ১ ছাত্রকে বেত্রাঘাত করেছে

0

মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ১২বছর বয়সী সাবির মাহমুদ ভ্যানের সঙ্গে লেগে  তার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। হেফজার ছাত্র সাবির সেই অবস্থায় মাদ্রাসায় পৌঁছেছিল। তার সহপাঠীরা গাইয়ের পাঞ্জাবী ছেঁড়া দেখে হাসতে শুরু করে। এটা দেখে শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদ ছাত্রদের কিছু বলেননি বরং সাবিরের সাথে নির্মম আচরণ করেছেন। তিনি শিশুটিকে ৩০ বার বেত দিয়ে আঘাত করেন। সাবিরের শরীরে ক্ষতবিক্ষত হয়।

সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গড়াই ইউনিয়নের গন্ধব্যপাড়ার তাহফিজুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল মাজেদ ঘটনার পর গা-ঢাকা দিয়েছেন।আহত ছাত্র সাবির মাহমুদকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সে উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের সলিমনগরের ভরপাড়া গ্রামের শামীম আল মামুনের ছেলে। অভিযুক্ত শিক্ষক মাজেদ নাটোরের সিংড়া উপজেলা সদরের জামশেদ আলীর ছেলে।

আহত সাবির বলেন, তিনি কোরানের ১৩ পারা  থেকে ১১ পৃষ্ঠা মুখস্থ করেছে। সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে উপজেলার সোহাগপাড়া বাজারে একটি ভ্যানের সঙ্গে লেগে গায়ের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। মাদ্রাসায় যাওয়ার পর হেফজ বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মাজেদ তাকে প্রচণ্ড বেত্রাঘাত করেন। এ সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সন্ধ্যায় সাবির যখন তার বাড়িতে যান, পাঞ্জাবি খোলার পর পরিবারের সদস্যরা আঘাতের চিহ্ন দেখে বিষয়টি জানতে পারে। পরে তার বাবা -মা, মাদ্রাসার পরিচালক মাহবুবুর রহমান সোহেল এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানকে বিষয়টি জানানো হয়। মাদ্রাসার পরিচালক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলেও সাবিরের বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে মির্জাপুর থানায় মৌখিক অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে, মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষকদের ডেকে পাঠান। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল মাজেদকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সাবিরের বাবা শামীম আল মামুন জানান, তিনি সোমবার রাতে তার ছেলেকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করেন।

তাহফিজুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিচালক মাহফুবুর রহমান সোহেল জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিনের অফিসে বসে ছিলেন। তিনি বলেন, তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *