রাতের খাবারের পর টক দই খাওয়া কি ঠিক?

0

টক দই শরীরের জন্য অপরিহার্য। টক দইয়ে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া, ভিটামিন এবং বিভিন্ন ধরনের মিনারেল, যা শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের জন্য ভালো। বিশেষ করে যারা দাঁড়িয়ে দুধ পান করতে পারেন না তারা ঘরেই দই পেতে খেতে পারেন। এটি শরীরের পাশাপাশি ত্বক ও চুলের জন্যও ভালো। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, টক দই রাতে খাওয়া উচিত নয়। রাতে খেলে বিশেষ কিছু ঝুঁকি থাকতে পারে।

প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী রাতে দই খাওয়া উচিত নয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজির মতে, দই আমাদের শরীরের টিস্যুর বিপরীত কার্যকলাপ বাড়ায়, যে কারণে এটি শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও ঘটায়। এ কারণে রাতে দই খেলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। যেমন-

বমি হতে পারে: রাতে দই খেলে পরিপাকতন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এর ফলে বমি হতে পারে।

ব্রণের সমস্যা হতে পারে: ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় দেখা গেছে যারা নিয়মিত ২ সপ্তাহ রাতে দই খান, তাদের ব্রণের সমস্যা দ্রুত হয়।

কাশি হতে পারে: আয়ুর্বেদে আরও বলা হয়েছে যে রাতে দই খাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত কফ তৈরি হতে শুরু করে। এটি গলা ব্যথা এবং সর্দি-কাশির ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে।

স্থূলতা: একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী, রাতে অতিরিক্ত দই খেলেও স্থূলতার সমস্যা বাড়তে পারে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে।

আর্থ্রাইটিস বাড়ায়: যাদের বাতের সমস্যা আছে তাদের অন্তত দই খাওয়া উচিত নয়। দই খেলে জয়েন্টের ব্যথার সমস্যা বাড়তে পারে।

টকদই খাওয়ার সময় যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে-

দই পাতার পর ২৪ ঘণ্টার বেশি রেখে দিলে দইয়ের পুষ্টিগুণ ধীরে ধীরে কমে যায়।

বাড়িতে প্রতিদিন এক বাটি পাতা দই খাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম।

কৃত্রিম স্বাদের দই খেয়ে কোনো লাভ নেই।

ফল টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে সালাদ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। ঘরের তাপমাত্রায় রাখা টক দই খাওয়া ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *