কান্না না থামায় মা যমজ শিশুকে মেরে পুকুরে ফেলে দেয়

0

খুলনার তেরখাদা ​​উপজেলার কুশলা গ্রামে যমজ সন্তান মনি ও মুক্তাকে হত্যা করেন তার মা কানিজ ফাতেমা কনা। এরপর বাড়ির পাশের পুকুরে লাশ ফেলে শিশু নিখোঁজের নাটক সাজান। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কানিজ ফাতেমা কনা তার সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

শুক্রবার মধ্যরাতে কানিজ ফাতেমা কনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন দুই সন্তানের বাবা মাসুম বিল্লাহ। গতকাল দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক কণাকে শুক্রবার রাতে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেরখাদা ​​থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক বলেন, শিশু দুটি সবসময় কাঁদত। এ নিয়ে মন খারাপ হয়ে গেল কনার। কয়েকদিন আগে কনা তার স্বামীকে ফোন করে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে বলে। স্বামী মাসুম বিল্লাহ তাদেরকে ১ মার্চ নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

কিন্তু গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কনার যমজ সন্তান জেগে ওঠে এবং কাঁদতে থাকে। তারপর কনা ওদের দুধ খাইয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু তারা কান্না থামাতে না পেরে তাকে নাক-মুখ চেপে ধরে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয় বলে জানান তিনি।

এসআই এনামুল হক জানান, হত্যার পর কনা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার বিছানা থেকে দুই শিশু নিখোঁজ হওয়ার ভান করে। শনিবার সকালে কোনার বাবা শেখ খায়রুজ্জামান ও মা শরিফা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন কনা। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে কুশলা গ্রামের শেখ খায়রুজ্জামান ওরফে খায়ের শেখের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে দুই মাস বয়সী দুই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চার বছর আগে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রামের মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে বিয়ে হয় কোনার। কিন্তু পারিবারিক কলহের কারণে কয়েক মাস ধরে বাবার বাড়িতে থাকেন কনা। আর মাসুম বিল্লাহ নিজ বাড়িতে থাকতেন। মাসুম বিল্লাহ একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *