চট্টগ্রামে কোরবানির জন্য লাল গরুর চাহিদা বেশি।

চট্টগ্রামে কোরবানির জন্য লাল গরুর চাহিদা বেশি। লাল চিটাগাং ক্যাটল নামে পরিচিত। শুধু লাল নয়, মীর কাদিম, শাহিওয়াল এবং ফ্রিজিয়ান গরুরও প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদকে ঘিরে চট্টগ্রামের গরুর খামারগুলি ইতিমধ্যেই ব্যস্ত। ভালো দাম পাওয়ার আশায় কৃষকরা তাদের পছন্দের গরুগুলিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যস্ত।
চট্টগ্রামবাসীর কাছে কোরবানির জন্য লাল গরুই প্রথম পছন্দ। অনেকেই চট্টগ্রামের এই বিশেষ জাতের গরুকে লাল চিটাগাং ক্যাটল বলে ডাকেন আট মুখের লাল গরু। মাঝারি আকারের, সুদর্শন এবং সতেজ হওয়ায় চট্টগ্রামের এই লাল গরুর চাহিদা বেশি।
খামারিরা বলছেন, চট্টগ্রামের মানুষ লাল গরুর প্রতি একটু বেশি আকৃষ্ট। এছাড়াও, মীর কাদিম, শাহিওয়াল এবং ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর চাহিদা অনেক বেশি।
কয়েক দিনের মধ্যেই সারা দেশে কোরবানির পশুর বিক্রি ও ক্রয় পুরোদমে শুরু হবে। এখন খামারগুলিতে কোরবানির পশুর অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া হচ্ছে। গরুগুলিকে সম্পূর্ণরূপে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করা হয়েছে।
প্রায় প্রতিদিনই তাদের গোসল করানো হয়। পশুদের থাকার জায়গা প্রতিদিন পরিষ্কার রাখা হয়। তাদের দিনে দুই বেলা ভুট্টা, খিল, কাঁচা ঘাস, গমের খোসা এবং খড়ের মতো প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা স্টেরয়েডমুক্ত প্রাকৃতিক খাবারে পশু উৎপাদন সম্পর্কে অবহিত করেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, এখানকার গরুগুলিকে স্টেরয়েড দেওয়া হয় না। প্রাকৃতিক খাবারে লালন-পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ৯ লক্ষ।