নতুন মামলায় গ্রেফতার ৭ জন প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য

0
Untitled design - 2025-05-14T135515.689

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাক্তন মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং প্রাক্তন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৭ জনের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

Description of image

ঢাকা মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান বুধবার (১৪ মে) এই আদেশ জারি করেন।

সকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

অন্য আসামিরা হলেন প্রাক্তন মন্ত্রী শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।

এদের মধ্যে আনিসুল হককে তিনটি মামলায়, মনিরুল ইসলাম মনুকে তিনটি মামলায়, আমির হোসেন আমুকে দুটি মামলায়, রাশেদ খান মেননকে দুটি মামলায়, হাসানুল হক ইনুকে দুটি মামলায়, জুনাইদ পলককে দুটি মামলায় এবং শাজাহান খানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছিল।

এদিকে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ মেহেদী হাসান জুনাইদ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর বংশাল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুনানি শেষে একই আদালত এই আদেশ দেন। সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এই সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি রিমান্ড খারিজ করে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন খারিজ করে রিমান্ডের নির্দেশ দেন। এর আগে, ১২ এপ্রিল পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পণ্ডিত মামলায় জাহাঙ্গীর আলমের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ওই দিন আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ১ অক্টোবর জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন। এরপর থেকে তাকে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ মেহেদী হাসান জুনাইদ মোস্তাকিন একটি মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। ওই দিন ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এলাকায় অভিযুক্তরা ছাত্র ও জনসাধারণের উপর গুলি চালাতে শুরু করে। অভিযুক্তদের ছোড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে শেখ মেহেদী হাসান জুনাইদ মোস্তাকিনের মাথায় গুলি লাগে। পরে তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।