সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘ঢাকা অবরোধের’ ঘোষণা

0
Screenshot 2025-01-27 125828

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেছেন, ঢাবি এবং সাত কলেজ ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ‘অবাঞ্ছিত এবং দুঃখজনক’। রবিবার রাত ১টার দিকে তিনি এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন।

Description of image

এক ভিডিও বার্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মামুন আহমেদ বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) সন্ধ্যায় আমার কার্যালয়ে সাত কলেজ ছাত্রের সাথে আলোচনার সময় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছিল তা দুঃখজনক। আমি এতে গভীরভাবে মর্মাহত।’

অধ্যাপক মামুন আহমেদ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে সুষ্ঠু পরিবেশে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের ছাত্রদের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তা প্রশমনের জন্য আমি সকল পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণত্র তোরাহের বাইরে অবস্থান নেন। অন্যদিকে, এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের থামাতে হলের সামনের গেটের একটু ভেতরে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ভোর ৩টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষ নীলক্ষেত মোড়কে রণক্ষেত্রে পরিণত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে এলাকায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

এদিকে, রাত ১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন।

সংঘর্ষে একজন পথচারীসহ সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।