আ.লীগের ইতিহাস পালিয়ে যাওয়ার-ডাঃ শাহাদাত হোসেন

আওয়ামী লীগের ইতিহাস পালিয়ে যাওয়ার বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র গতকাল বিকেলে নগরীর ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেয়র বলেন, ১৯৭১ সালের মতো তারা ২০২৪ সালেও তাদের নেতাকর্মীদের এতিম করে পেছনের দরজা দিয়ে ভারতে পালিয়েছে। শেখ মুজিব পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন; তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ের বইতেও তা লেখা আছে।

জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। আর আওয়ামী লীগের তথাকথিত নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়ে ইতিহাস বিকৃত করেছেন। তারা ইতিহাস থেকে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণাকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল; কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।

২৫ মার্চের অন্ধকার রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন মানুষ হত্যা শুরু করে তখন আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ সময় তারা ভারতে পালিয়ে যায়। সেই অন্ধকার রাতে জাতি যখন হারিয়ে গিয়েছিল, তখন জিয়াউর রহমান নেতৃত্বহীন জাতিকে মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন। তিনি ষোলশহরের বিপ্লব উদ্যানে ‘আমি বিদ্রোহ’ বলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ২৬শে মার্চ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যদের একত্রিত করে তিনি প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরও তিনি চুপ করে বসে থাকেননি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন এবং অস্ত্র হাতে যুদ্ধও করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি রণাঙ্গন থেকে দেশকে মুক্ত করেন। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো: কামরুল ইসলাম, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: গোলাম কাদের নোবেল, মহানগর জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।