পাটমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক

0
ezgif.com-gif-maker

Description of image

কিত্রৃম তন্তর সুতা-টেক্সটাইল উৎপাদনের উদ্যোগের অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ স্থানীয়ভাবে সিনথেটিক সুতা-টেক্সটাইল উৎপাদনে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

সোমবার বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে বৈঠকে নেতারা এ অনুরোধ জানান। সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিইএ সভাপতি ফারুক হাসান। বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্বব্যাপী এখন সিন্থেটিক ফাইবার পোশাকের চাহিদা অনেক বেশি। সাম্প্রতিক কর্পোরেট কেলেঙ্কারির ফলে এই বিশেষত্বের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো তুলাভিত্তিক পোশাক তৈরি করে। দেশে সিন্থেটিক সুতা ও কাপড়ের সরবরাহ না থাকায় তুলা থেকে পোশাক তৈরি করতে বাধ্য হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এছাড়া সিন্থেটিক সুতা ও কাপড় আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়। ফারুক হাসান আরও বলেন, “এ ছাড়া কাতার থেকে স্বল্পোন্নত দেশে উত্তরণের পর বিদ্যমান জিএসপি সুবিধা আর থাকবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি প্লাস থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য পোশাক উত্পাদনের জন্য ২৮-দেশীয় জোটের নিজস্ব সুতা এবং কাপড়ের শর্ত থাকবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের বস্ত্র খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। তিনি এ বিষয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগ বাড়াতে মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। বিজিএমইএর অনুরোধে সাড়া দিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, সরকার তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা জোরদার করতে চায়। এই লক্ষ্য অর্জন, এলডিসি থেকে উত্তরণ এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। মন্ত্রী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের জন্য ‘সহায়ক কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।