মাঠের নতুন আকর্ষণ বেগুনি রঙের ধান

0
Untitled design (2)

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নে শিলক যাওয়ার পথে গ্রামীণ পিচঢালা সড়কের দুই পাশে সবুজ। মাঠের পর মাঠ চাষ হয়েছে বোরো ধান। রাস্তার ক্ষেত্রবাজার এলাকা থেকে বের হলেই পথচারীদের চোখে পড়ে বেগুনি ধানক্ষেত। যেখানে বিস্তীর্ণ সবুজ ধানক্ষেতের মধ্যে বেগুনি পাতার ধান নজর কাড়ছে সবার।

Description of image

সরেজমিনে দেখা যায় বেগুনি ধানক্ষেত, বিস্তীর্ণ সবুজে শোভা পাচ্ছে বেগুনি ধানক্ষেত। এই বেগুনি রঙ প্রকৃতিতে নিয়ে আসে নতুন মাত্রা। মনোরঞ্জন নাথ, রূপম নাথসহ কয়েকজন কৃষক, স্থানীয় কৃষকরা ৪০ শতক জমিতে প্রথমবারের মতো বেগুনি রঙের এই ধান চাষ করেছেন। পথচারীরা এই ধানক্ষেত দেখতে থেমে যান পথে। অনেককে এই ধানক্ষেতের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা গেছে।

জানা গেছে, সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ধান। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ক্যান্সার, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য যা মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে। রোপণ থেকে পাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩০-১৪০ দিন সময় লাগে। অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় এ ধানের প্রতি গোছার সংখ্যা বেশি হওয়ায় একর প্রতি ফলনও বেশ ভালো। অন্যান্য ধানের তুলনায় এই চাল চিকন হলেও এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এ চালের ভাত খেতেও সুস্বাদু।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন কৃষি জমিতে এ জাতের ধানের চাষ হচ্ছে।

এবারও রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন কৃষি জমিতে এ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ৬ টন ফলন আশা করছেন কৃষকরা। বীজ ধান হিসেবে প্রতি কেজি ধান বিক্রি হয় ২০০-৩০০ টাকায়। একদিকে এটি ভিন্ন জাত, অন্যদিকে বাজারে এর ভালো দাম ও বাড়তি আকর্ষণীয়তার কারণে দিন দিন চাষি ও স্থানীয়দের আগ্রহ বাড়ছে। এ ধান চাষের জন্য অনেক কৃষক বীজ চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বেগুনি ধান চাষি মনোরঞ্জন নাথ ও রূপম নাথ জানান, তারা নিজ উদ্যোগে বিলাইছড়ি থেকে বীজ সংগ্রহ করে শখের বশে এ ধান চাষ করেন। এখন ধানের বয়স ৩০-৩৫ দিন। এরই মধ্যে ধানক্ষেত বেশ সুন্দর হয়ে উঠেছে। তারাও ভালো ফলন আশা করছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।