শিশু মরিয়ম হত্যার ঘটনায় মা ও চাচা গ্রেফতার

0
Untitled design (4)

মা সন্তানের শেষ আশ্রয়, আস্থা ও ভালোবাসার জায়গা হলেও সেই মায়ের হাতেই খুন হতে হয়েছে শিশু মরিয়মকে (৮)। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রামবল্লব গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটেছে।

Description of image

সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মরিয়মের মা রিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। আর ঘটনার দিন ও রাতে চাচা সেন্টু মৃধাকে আটক করা হয়। মরিয়ম ওই ইউনিয়নের রামবল্লব গ্রামের আবুল মৃধার মেয়ে ও অগ্রণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এই ঘটনায় হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা।

মরিয়মের বাবা-মা জানান, মরিয়ম সোমবার সন্ধ্যায় একই বাড়িতে তার খালার বাসায় মোবাইল ফোনে কার্টুন দেখতে যায়। বাসায় ফিরেছেনও। কিন্তু সন্ধ্যার পরও মরিয়মকে দেখতে না পেয়ে নাটকীয়ভাবে তাকে খুঁজতে বের হন মা রিনা বেগম। বিষয়টি জানাজানি হলে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত সাড়ে ৮টায় স্থানীয়রা বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত বাড়িতে গিয়ে মরিয়মের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয় লোকজন দশমিনা থানায় খবর দিলে রাতেই পুলিশ এসে মরিয়মের লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, মা রিনা বেগম মরিয়মের হাত ধরে কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর জমির জন্য প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে দেন। এরপর চাচা সেন্টু নরম লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মরিয়মের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তবে মরিয়মের বাবা আবুল মৃধা ও মা রিনা বেগম দাবি করেন, দুই বছর ধরে জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এ শত্রুতার জের ধরে তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়।

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম জানান, শিশু মরিয়ম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার চাচা ও মাকে আটক করা হয়েছে।

হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পরিবারের কেউ বাদী না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।