এবার লেবাননে রকেট হামলা চালাল ইসরাইল।

0

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে যে তারা লেবাননে আর্টিলারি হামলা চালাচ্ছে এর আগে লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে গুলি চালানোর পর থেকে হামলা চালাচ্ছি।

এমনকি লেবানন থেকে ছোড়া মর্টার শেল ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিও জানিয়েছে, রোববার লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের দিকে মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়। তিনটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, লেবানন থেকে ছোড়া শেলটি শেবা ফার্মসে ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে।

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, “ইসরাইল লেবাননের সেই এলাকায় পাল্টা আর্টিলারি হামলা চালাচ্ছে যেখান থেকে এই গোলাগুলি ছোড়া হয়েছে।”

“ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী বর্তমানে লেবাননের সেই এলাকায় আক্রমণ করছে যেখান থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছিল। আইডিএফ এ ধরনের হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যখনই প্রয়োজন হবে তখনই সব এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাবে।’

ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের কাফার শুবার আশেপাশের এলাকা লক্ষ্য করে কামান হামলা চালায়। তবে ইসরায়েলি কামানের গোলাবর্ষণের পর লেবাননের পক্ষ থেকে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে গাজার সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৩০ জনের বেশি। আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার। অবরুদ্ধ গাজার সাতটি এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েক ডজন পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে এবং জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব নেতারা সংযম থাকার আহ্বান জানালেও অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন গাজায় বড় ধরনের হামলা হতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া এক্স (আগের টুইটার) তে গাজাবাসী ইসরায়েলি বিমান হামলার বর্ণনা দিয়েছে। তারা বলছে, ইসরাইল নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে।

গাজার বাসিন্দারা অন্ধকার ও অনিশ্চয়তার মধ্যে রাত কাটাচ্ছে। কারণ ইসরায়েল ওই এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছে। এই অন্ধকারে ইসরাইল প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ করেছে। গাজায় একটি ১৪ তলা ভবনেও হামলা হয়েছে। এই ভবনে হামাসের অফিস রয়েছে।

এদিকে, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর ডেপুটি চিফ সালেহ আল-আরোরি বলেছেন যে হামাস সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলিকে বন্দী করেছে। ইসরায়েলের জেলে থাকা সমস্ত ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করার জন্য হামাসের কাছে যথেষ্ট ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামাসের হাতে “উল্লেখযোগ্য সংখ্যক” ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্য জিম্মি।

জেরুজালেম পোস্টের সামরিক বিশ্লেষক ইয়োনাহ জেরেমি বব বলেছেন, ইসরায়েলের বিশাল বাহিনী এক-দুই দিনের মধ্যে হাজির হবে। তারা গাজায় হামাস বাহিনীকে পরাজিত করতে সক্ষম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *