তিন ফসলের জমি ডুবিয়ে লেক খনন পরিকল্পনা নিয়ে আদিবাসীরা ক্ষুব্ধ

0
Untitled design (4)

Description of image

টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকার আদিবাসীরা কৃত্রিম লেক খননের পরিকল্পনায় তিন ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে জৈনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে মধুপুর শালবনের দোখলা আমতলী এলাকায় পর্যটকদের বিনোদনের জন্য এমন একটি লেক খননের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বন বিভাগকে পরিকল্পনা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়, অন্যথায় বন ও বনবাসীর জন্য ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড রোধ করা হবে।

জৈনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নরেকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য রাখেন গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশন (বগাছাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি লিয়াং রিচিল। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক অজয় ​​এ মরি, মাবুল দারু, গৌরাঙ্গ বর্মন, হরিদ সিমসাং, প্রভিন চিসিম, নেরে নবত ডালবাত প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা, মধুপুরে বসবাসরত আদিবাসী জনগণ এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি যে, বন বিভাগ বিনোদনের জন্য আদিবাসীদের তিন ফসলের জমিতে কৃত্রিম লেক খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা আমাদের নিরীহ আদিবাসীদের জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।মধুপুর বনের অবশিষ্ট প্রাকৃতিক বন ও পরিবেশ হ্রদের ধারে বসবাসকারী আদিবাসীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশের উপর স্থায়ী বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

সংবাদ সম্মেলনে অনুরোধ করা হয়, লেক খননের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে তা অন্যত্র ব্যয় করা হোক, যেমন রসুলপুর এলাকায় বা অন্য যে সব এলাকায় বন বিভাগ জমি দখল করেছে, তাতে আদিবাসীদের জীবন-জীবিকার কোনো প্রভাব পড়বে না। তিন ফসলের জমিতে লেক খনন করা হলে তা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও লঙ্ঘন হবে। শুধু তাই নয়, এটা মানবাধিকার ও দেশের সংবিধানেরও লঙ্ঘন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।